প্রাণের ৭১

একাদশ নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের অর্ধশত বছরের সংকট উত্তরণের নির্বাচন।।

হতভম্ব রাজনীতি বিজ্ঞানী,হতভম্ব রাজনীতি বিশ্লেষক–রাজনীতি’র ইতিহাস ঐতিহ্য ভঙ্গ করে,বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেঈমান প্রেতাত্বাদের দৃশ্যমান শেষ পরিণতি ঘটে গেছে। যাহা সাধারনতঃ রাজনীতি’র ক্ষেত্রে কোন জনপদে আদৌ ঘটার অতীত ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়না। জিয়া পরিবারে’র সর্ববিদ করুন পরিণতি উপহার দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের তিনশত বছরের অতীত ইতিহাসের পূর্ণরাবৃত্তি ঘটিয়েছে প্রকৃতি।
মীর জাফরে’র পরিণতি’র ধারাবাহিকতা পূর্ণরাবৃত্তি ঘটিয়ে খুব দ্রুত বাংলাদেশের রাজনীতি’র মহাসাগরে’র অতলতলে তলিয়ে দিয়েছে সম্পূর্ণ জিয়া পরিবার। বৈষয়িক শাস্তি’র নজির এবং প্রকৃতি প্রদত্ত করুন পরিণতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়–মীর জাফর পরিবারের চেয়ে বহুগুন বেশী উপমা স্থাপন করেছে।সম্পূর্ণ পরিবারের করুন পরিণতি ঘটেছে তাই নয়। প্রকৃতি এখনও শান্ত হয়নি, বিচার এখনও চালিয়ে যাচ্ছে,শাস্তি দিয়ে যাচ্ছে। যেন ইহা প্রকৃতির দৈনন্দিন কাজের অংশই করে নিয়েছে। এই পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কখনও, কোনকালে পূর্ণজ্জিবনের কোন সম্ভাবনা নেই। যেমন হয়নি মীর জাফর, হাল আমলের মোস্তাক চক্রের রাজনীতির পূর্ণজ্জিবন।
নগদ উদাহরণ হাতে’র মূঠায় থাকাবস্থায়, খালেদা পরিবার’কে যারা পূর্ণজ্জিবনের আশা দিচ্ছেন, ভরসা দিচ্ছেন, স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাঁরা সকলে’ই রাজনীতির প্রতারক। এই সমস্ত রাজনীতি’র প্রতারকদের নাম অবশ্যই বাংলাদেশের রাজনীতি’র ইতিহাসে উল্লেখ থাকবে।তবে সম্মানজনকভাবে নয়, ঘৃনিত চরিত্রের বর্ণনা সহকারে।
যেমন ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে মীর জাফর আলী খাঁ খলনায়কের পাশে সহযোগী মীর মদন, ঘসেটি বেগম, জগৎ শেঠ।’৭১এর মুক্তিযুদ্ধের বেঈমান জামায়াতে ইসলামী দল ও তাঁর নেতা গোলাম আজমের সহযোগী নিজামী, মীর কাশেম আলী সহ অন্যান্ন দেশদ্রোহী। হাল আমলের বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যতম বিশ্বাসঘাতক খলনায়ক মোস্তাকের পাশে সহযোগী চাষি নজরুল, খুনী মেজর ডালিম, খুনী মেজর ফারুক, খুনী মেজর রশিদের নাম ঘৃনাভরে বিধৃত হচ্ছে, এবং আগামীর ইতিহাসে বিস্তৃতকারে বিধৃত হবে।
এই সময়ে এসে ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ‘ঘরের শত্রু বিভীষনের পদধ্বনি শুনা যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যকান্ডের ঠান্ডা মাথার খুনী, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীদের চর–জিয়া পরিবার রক্ষায় রাজাকার,খুনীদের সঙ্গে মুজিবাদর্শের শিপাহশালারগনের অনেকেই একহাট্টা হয়েছে। আগামী প্রজম্মের নতুন বাংলাদেশের ইতিহাসে নিশ্চয়ই তাঁদের নামও উঠে আসবে খুনী, দেশদ্রোহী জিয়া পরিবার রক্ষায় সহযোগীতায় ধিকৃত ভুমিকা পালনকারীদের তালিকায়।
আগত অন্যান্ন–প্রতিষ্ঠিত নেতা, অনাদর্শিক নেতা, আদর্শিক নেতাদের নাম থাকবে–বাংলাদেশের জনগনের অর্ধশত বছরে’র নিয়ন্তর সংগ্রামে, আন্দোলনে, রক্তের বন্যায় রাজনীতির’ গতিধারা পরিবর্তনের টার্নিং পয়েন্ট পিচ্ছিল করার এবং পারতঃপক্ষে অন্যতম বাধাদানকারী’ ন্যাক্কারজনক ভুমিকা পালনকারী’দের নামের তালিকার শীর্ষে।
ঐক্যফ্রন্টের স্রোতের সাথে কৌশলে মিসে যাওয়া তৃতীয় ধারার নেতাদের অনেকের অতি বাগাড়ম্বর বক্তৃতা,বিবৃতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। জিয়া পরিবার এবং বিএনপি’র তৃনমূলে বিশাল নেতাকর্মী সমর্থক গোষ্টির স্যামপ্যাথি ভোটে নির্বাচনী বৈতরনি পার হওয়াই আপাততঃ তাঁদের কৌশল।
এই ধারাটি’র মূখোষ সহষাই খসে পড়বে–একাদশ নির্বাচনের পরপর। দৃশ্যমান হবে–কে, কেন, কি উদ্দেশ্য সাধনে বর্তমান সময়ে ‘মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশী দেখিয়েছিল। নির্বাচন পরবর্তিতে বিএনপি’ দলে অথবা যিনি যেখানে–যে অবস্থায় আছেন, তিনি সেখানে–সেই অবস্থায় থেকে, নেতৃত্বশূন্য দিকভ্রান্ত লক্ষলক্ষ নিবেদিত নেতাকর্মীদের পক্ষে টানার এক ভয়াবহ মাছের মাসির মায়াকান্না বহাল রেখে শুরু করবে মরণপণ মল্লযুদ্ধ। বর্তমানের “মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ” বেশী দেখানোর শঠতা, প্রতারণার বেড়াজাল বিস্তারের নিয়ন্তর কসরৎ।
বিএনপি দলের তৃনমূলের নিবেদিত লক্ষলক্ষ নেতাকর্মী’র সহানুভূতি আদায়ের রশি টানাটানির আগাম প্রস্তুতি’র মহড়ায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। এই সময়ে এসে যত্রতত্র অনুষ্ঠান নাটক মঞ্চায়ন করে চলেছে একশ্রেনী’র নীতিহীন অনৈতিক নেতা।এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে বহুকালের প্রচলিত একটি প্রবাদ–“গরীবের বউ সম্পর্কে সমাজে’র অথবা গ্রামের–পিতা-পুত্র, দাদা,নাতি, পুতি, আবাল, বৃদ্ধ, যুবক সকলে’র ভাবী।বিএনপির ক্ষেত্রেও হুবহু সেই লক্ষনটিই ফুটে উঠেছে।
দেশের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা,কঠ্রর কমিউনিষ্ট, সমাজতন্ত্রি, গনতন্ত্রি, ফ্যাসিষ্ট, সর্বহারার উধ্বতন নেতৃবৃন্দ, জনসমর্থনহীন নেতৃবৃন্দ সবমহল একহাট্টা জিয়া পরিবার রক্ষায়।অথছ বিধাতা তাঁর খেয়াল খুশী হতে চুল পরিমান নড়ছে বলে মনে হচ্ছেনা। উল্লেখিত উদ্দেশ্যের নেতৃবৃন্দের যতটা না জিয়া পরিবার রক্ষার প্রতি মনযোগ,তাঁরচেয়ে বেশী দলটির নেতৃত্ব দখল,কর্মীদের সহানূভুতি আদায়, দলটি’র উর্বর ভূমি ভাগাভাগি করে নিজেদের ফস হীন অনুর্বর ভূমির সাথে একিভূত করণ।
ইতিমধ্যে তাঁর নমূনা ফুঁটে উঠেছে নেতৃত্বহীন বিশাল দল বিএনপি’র নেতৃত্ব দখলের অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা। আর তা পরিস্ফুটিত হচ্ছে দলের আদর্শিক নেতাদের তুলনায় সমর্থনহীন হামবড়া ভাবের ভাড়াটে নেতাদের মধ্যে অধিকতর নোংরামী,কদয্যতা, ভন্ডামী’র কলাকৌশলে। তাঁরা প্রায় সকলেই হিতাহীত জ্ঞানশূন্য বক্তৃতা বিবৃতি, আচার আচরণে প্রতিনিয়ত বিস্তার করে চলেছে তাঁদের প্রতারনা মূলক ফাঁদের জাল।
ঐক্য প্রক্রিয়া গঠিত হয়েছে বহুবীদ উদ্দেশ্য সাধনকল্পে, তম্মধ্যে অন্যতম মার্কিন রাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষার তাগিদ। প্রত্যক্ষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্ণিয়াকটের তত্বাবধানে তাঁদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে জম্মলগ্নে এই জোটের নানা কাহিনীর অবতারনা হতে দেখা গেছে। ফলে সুস্পষ্টভাবে ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনের প্রথম থেকে লক্ষ করা গেছে তাঁদের ইচ্ছার প্তফলন ঘটাতে এদেশীয় দালালচক্রের প্রতিযোগীতা। মোড়ল রাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষার ন্যাক্কারজনক প্রতিযোগীতার চিত্র বাংলাদেশের মানুষ স্বচক্ষে উলঙ্গবস্থায় দেখতে পেয়ে যে ঘৃনার বহ্নিশিখা জ্বলে উঠেছিল, জম্ম হয়েছিল, বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর পুর্বেই নিজেদের ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলে উঠার দৃশ্যে ক্ষনিকের বিরতি ঘটেছে মাত্র। বার্ণিয়াকট তাঁর দেয়া বিবৃতির মাধ্যমে নিজেই স্বিকার করে একাধিকবার বলে গেছেন–তিনি প্রত্যক্ষভাবে ঐক্যপ্রক্রিয়া জম্মে জড়িত ছিলেন এবং এখনও তাঁর সরকার এই প্রক্রিয়ায় জড়িত রয়েছে।
–ঐক্য প্রক্রিয়ায় জড়িত বহু রং বেরঙের মানুষের সম্মিলনে জাতীয় ঐক্যের নামের আড়ালে ঐক্যফ্রন্টের জম্ম দিয়ে রাজনীতিতে ভাঁড়দের সংঘ তৈরি করেছেন। অবশ্য তাঁদের উত্থানও বিভিন্ন দলে বিভিন্ন ভাবে ঘটেছিল। মূলতঃ তাঁরা সবাই স্ব স্ব অবস্থানে মার্কিন রাষ্ট্রের পেইড দালাল। মার্কিনীদের স্বার্থরক্ষার তাগিদে তাঁদের আঙ্গুলের ঈশারায় ক্ষনিকের মধ্যে একজায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র।
সঙ্গতকারনে সমাজের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দলের আদর্শ যেমন বিভিন্ন, তাঁদের উদ্দেশ্যও ভিন্ন ভিন্ন। বিএনপি’র তৃমূলের লক্ষলক্ষ পাইকারী নেতাকর্মিদের টানাটানিও হবে বিভিন্ন প্রকার কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে। বিএনপির অভ্যন্তরে সংঘটিত নানা ঘটনা প্রবাহে এতটুকু বিচলীত হওয়ার কোন কারন কারো আছে বলে মনে করিনা।
পিতার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগিতে নানা ঘটনা ঘটার নজির দেখার অভ্যেস বাংলাদেশের জনগনের রয়েছে। অংশীদারী ভাই-বোনদের মধ্যে বিভিন্নজনের পক্ষে সমাজের অনেকেই উড়ে এসে জুড়ে বসে মাতব্বরি করার চেষ্টায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। সুতারাং বিএনপি’র ভিতরে বাইরে এইসময়ে সংঘটিত আহুত, অনাহুত ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে জনগনের আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
বিশেষ করে বাংলাদেশের অধিক সংখ্যক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকদের,
রাজনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ টার্ণিং পয়েন্টে দাঁড়িয়ে, ধৈয্য ও বিচক্ষনতার সঙ্গে পথ পরিক্রমনের প্রতি মনযোগ নিবদ্ধ রাখা প্রয়োজন।টার্নিং পয়েন্টের বাঁকে বাঁকে অশুভশক্তির বিছানো কাঁটা সরানো, এইমহুর্তে স্বাধীনতার পক্ষশক্তির প্রধাননেত্রীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রিয় দায়িত্ব ও কর্তবের মধ্যে এসে পড়েছে। এই মহুর্তে দেশ ও জনগনের সর্বাদিক গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সর্বাত্বক সহযোগীতা করাই হবে প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাগরিকের অন্যতম নৈতিক ও আদর্শিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
লক্ষ করলে দেখা যায়–বিএনপির মুল নেতৃত্বের জেল, জরিমানা এবং শাখা নেতৃত্বের দেশে ফেরার সম্ভাবনা উবে যাওয়ার পরপর নীতিভ্রষ্ট, লক্ষভ্রষ্ট, আদর্শহীন, নেতাকর্মিহীন, জনসমর্থনহীন নেতাগন উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। তাঁদের আগমন এবং এসেই “মায়ের চেয়ে কয়েক শত ধাপ এগিয়ে, মাসি’র কান্নার দরদ দেখে বুঝাই যায়–বিএনপি জিয়া পরিবারহীন হওয়ার অপেক্ষায় তাঁরা ঘাপটি মেরে বসে ছিলেন দীর্ঘ একযুগেরও বেশী সময়। সময়টিতে ঘাপটি মেরে বসেই ছিলেননা–তঞ্চকের নানা কলাকৌশল, মুদ্রা’ ব্যাবহারের স্থান, কাল পাত্রের শিক্ষা গ্রহন করেছেন এবং শিখে নিয়েছেন।
যখনই নিশ্চিত হতে পেরেছেন–“জিয়া পরিবার শেষ, তখনই কেবল ঝাঁপিয়ে পড়েছেন “মাছের মাসি’র মায়া কান্নার অভিনব নৈপূন্য নিয়ে। প্রতিযোগীতায় নেমে তাঁরা এত নিম্নপয্যায় পৌঁছে গেছেন–কারোই হুঁশ, জ্ঞান বা সামান্যতম লজ্জাবোধ বাকী আছে, অনুভব হচ্ছেনা।
সাধারনতঃ বাংলাদেশের জনগন অতীতে বহুবার দেখেছে–উদ্দেশ্যের কান্নায় কারো লজ্জাবোধ, হিতাহীত জ্ঞান থাকেনা, চোখের পানি গড়গড় করে ঝরে পড়ে। “মীর জাফর আলী খাঁ, খোন্দকার মোসতাক” মেজর জিয়া হালনাগাদ ইতিহাসের সাক্ষি।তারপরও আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দের হুঁশ হয়না, তাঁরা প্রায় সকলেই অধিক তৈল মর্দন পছন্দ করেন। নিজের এবং বংশের গুনগান উদ্দেশ্যের তাঁবেদারদের মুখে শুনতে তাঁদের ভাল লাগে। নিজেও প্রানভরে শুনে,পরিবার,পরিজন,আত্মীয় স্বজনকে শুনাতে অতীতেও দেখা গেছে।বর্তমানে তাঁর প্রভাব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে এই যা।
যে সমস্ত শব্দসমষ্টি বা ভাষার ব্যাবহার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বিএনপির আদর্শে লালীত পাগলা রিজভী এই পয্যন্ত ব্যাবহার করেনি;সেই সমস্ত ভাষার ব্যাবহার ভাড়াটিয়া মান্না, রব সহ কতিপয় পালকহীন নেতার মুখ দিয়ে অনর্গল বেরিয়ে আসছে।
এই প্রকারের শিক্ষা আমাদের সবার জীবনে কয়েক শতবার করে প্রতিফলিত হয়েছে।–বহুল জনপ্রিয় একটি বাংলা প্রবাদ–“অতিভক্তি যার, চুরির লক্ষন তাঁর” মুখস্ত হৃদয়ে ধারন আছে।তৎসত্বেও আমরা কেউ কি মৌসাহেবী মুক্ত হতে পেরেছি, পারিনি। না পারার কারন তথাকথিত উদ্দেশ্যের মৌসাহেবদের মৌসাহেবী, ভক্তি, শ্রদ্ধার নতুন নতুন মূদ্রা, কলা,কৌশল, নৈপুণ্য আবিস্কারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ও সময়ে মুদ্রার প্রায়োগিক ক্ষমতা আমাদের সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।
মান্না সাহেব তদ্রুপ নিপূন ভাষা ব্যাবহারের মাধ্যমে তঞ্চকের ভুমিকায় সবাইকে পেছনে ফেলে বহুদুর অগ্রগামী হতে পেরেছেন পরিলক্ষিত হচ্ছে। আসম রব শেষ পয্যন্ত মান্না সাহেবের কদর্যভাষা, শঠতাতাপূর্ণ নৈপুণ্য, কুকুর সদৃশ বাচনভঙ্গি, প্রতারণাপূর্ণ চাঁপাবাজীর সাথে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারবেন কিনা–আমার মনে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে একটি শক্ত, দক্ষ, প্রতারক ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের প্রধাননেতা বঙ্গবন্ধুর অন্যতম শিপাহশালার জনাব ড. কামাল সাহেবের সাথে হাত মিলিয়েছে।তিনি হচ্ছেন ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপন ভাই, বঙ্গজননীর সু-পুত্র, বঙ্গবন্ধু’র মানসপুত্র, বঙ্গবীর জনাব আবদুল কাদের সিদ্দিকী।
জানা গেছে–তাঁর যোগদানে অশুভ শক্তির রক্ষক প্রেতাত্বা পত্নির অর্ধেক রোগ ইতিমধ্যেই সেরে গেছে,জেল হাসপাতালে বসে মিটিমিটি হাসছেন। জেল কতৃপক্ষ ও হাসপাতাল কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি তাঁর ব্যাবহারে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। কুইনাইনসম তিতা বাক্য ব্যাবহার স্থলে তাঁর মুখ থেকে প্রতিটি বাক্যে এখন এক একটা মধুরফোঁটা ঝরে পড়ছে।তিনি মনে করেন–তাঁর জেলমূক্তি আমৃত্যু না হলেও আর দুঃখ্য নেই।
সত্যি তাই–প্রেতাত্বার পেত্নি দূরে বসে যা করতে পারেনি,সম্ভব হয়নি, পরিবেশ পায়নি। আপনজন সে দুরহ কাজসমূহ সম্পাদন করার দায়িত্ব শফথ করে কাঁধে তুলে নিয়েছে। জাতির জনকের তিন বিশ্বস্ত শিপাহশালার জনাব ড.কামাল হোসেন,আবদুল কাদের সিদ্দিকী,সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছেন।
একদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জীবনবাজী রেখে তাঁর পিতা’র স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানের আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।অপর দিকে বঙ্গবন্ধু’র তিন বিশ্বস্ত শিপাহশালার জীবনবাজী রেখেছে–যেকোন উপায়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের স্বপ্নভঙ্গ করবে। পাইপলাইনে আর কতজন শিপাহশালার অপেক্ষা করছে,একাদশ নির্বাচনের কায্যক্রম আরাম্ভ হওয়া ব্যাতিরেকে অনুমান করা, এইমহুর্তে সম্ভব নয়।
জাতির জনকের পরিবারের অনেক দুরের সেনাসদস্যরা প্রেতাত্বা সেজে এতদিন আমরণ যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন, তাঁর আজম্ম লালীত স্বপ্ন চুরমার করার চেষ্টায়। এখন থেকে তাঁর পরিবারের মধ্যেই সেই যুদ্ধের ডামাডোল বেঁজে উঠেছে। তাঁর বিশ্বস্ত শিপাহশালার, সহচর, মানসপুত্র ঐক্যবদ্ধ শফথ গ্রহন করে একে একে মাঠে নেমেছে,তাঁরকন্যার প্রায় অর্ধ প্রতিষ্ঠিত স্বপ্ন চিরতরে বিলীন করার শফথ নিয়ে। সুতারাং সর্বস্তরের প্রেতাত্বা এবং তাঁদের অনুসারী ছায়া সমূহের দুঃখ্য থাকার কারন থাকতে পারেনা। ইতিপুর্বে যা ছিল অত্যান্ত দুরূহ ও বিপদজনক-বর্তমানে তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে অতিব সহজ এবং নিরাপদ।অর্থাৎ এক্ষেত্রে “ঘরের শত্রু বিভীষন” প্রবাদবাক্যের যথাযথ প্রায়োগিক কৌশল বিলম্বে হলেও দেশবিরূধী অশুভশক্তি কাজে লাগাতে পেরেছেন বলা যেতে পারে। অশুভশক্তি মোক্ষম সময়টিকে নির্দিষ্ট করেছে–অর্ধশত বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল ঘরে তোলার ঠিক আগমূহুর্তেই ঘরে আগুন লাগিয়ে দিতে পেরেছে।
আমি বিশ্বাস করি–প্রেতাত্বাদের স্বপ্ন ভঙ্গ অচিরে’ই ঘটবে।স্বপ্ন ভঙ্গের মায়াজাল বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতের মুঠোয়।তিনি তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষনতা, দুরদর্শিতা, অভিজ্ঞতা, ধৈয্য, সহনশীলতা, উদারতা ঢেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন ভঙ্গকারীর শফথ অচিরেই অশুভশক্তি নির্মূলের হাতিয়ারে পরিণত করতে পারবেন।এক্ষেত্রে হযবরল বিএনপি দলের অভ্যন্তরে নজর রাখা প্রয়োজন। বিএনপি দলের অভ্যন্তর হতে’ই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের অর্ধশতক প্রতিনিয়ত রক্তের বিসর্জন,নেত্রীর লৌহকঠিন নেতৃত্বে গড়ে উঠা রাজনীতির টার্নিং পয়েন্টের বাঁকে বাঁকে অশুভশক্তির পাতানো কাঁটা তুলার হাতিয়ার সংগ্রহ করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
নেতৃত্ব শূন্যতার সুযোগে উড়ে আসা পাখিদের মধ্যেই শুধু রশি টানাটানি হচ্ছে তা নয়, দলটির আদর্শিক নেতাদের মধ্যে নেতৃত্বের রশি টানাটানির উদ্ভেগজনক ভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে। জিয়া পরিবারের বর্তমানে জীবিত দুই সদস্য মাতা-পুত্র দুইভাগে বিভক্ত হয়ে দলের আদর্শিক নেতাদের রশিটানাটানিতে দৃশ্যমান প্ররোচিত করে চলেছে।
ড. কামাল, কাদের সিদ্দিকী, সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের সাম্প্রতিক কির্তিকলাপ সরাসরি তাঁদের ঝগড়া মিমাংসায় মধ্যস্ততাকারীর ভুমিকায় নয়। বিএনপি দলকেই দখল করার কুমতলবে ঐক্যফ্রন্টে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। আমি দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি জনগনের অর্ধশত বছরের প্রচেষ্টায় রচিত মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়ার এই টার্ণিং পয়েন্টের বাঁক কেউ রুদ্ধ করতে পারবেনা।চলমান রাজনৈতিক ঘুর্ণায়নে অচিরে’ই বিএনপি নামটি কমপক্ষে তিনটি উজ্জল বড় অক্ষরের ব্রাকেটের খাঁচায় বন্দি হতেই হবে।
ইহা একান্ত সত্য যে–বিএনপি দলের বিভিন্ন মেরুকরণের সমীকরণ মেলানোর উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ, জাসদ, বাসদ, জাতীয় পার্টির বিতাড়িত, পরিত্যাজ্য, পরিত্যাক্ত, খালেদা, হাসিনা মাইনাস নেতাদের খুব দ্রুতগতিতে জড়ো করা হয়েছে, হচ্ছে। বিএনপির উধ্বতন নেতৃবৃন্দদের মধ্যে যিনি যে মতবাদ বিশ্বাস করেন এবং মতবাদের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন–তিনি সেই মতবাদের পক্ষে বিএনপির অভ্যন্তরে শক্তিশালী মেরুকরণ ঘটানোর উদ্দেশ্যে উল্লেখিত দল সমূহের দলছুট নেতা, সমাজচ্যুত সমাজপতি, নগরচ্যুত নাগরিক নেতাদের জড়ো করেছেন।
এমতবস্থায় একাদশ নির্বাচন বিভিন্ন মতবাদে বিশ্বাসী মেরুকরণের আশায় সমীকরনকৃত নেতাদের, আপাততঃ জোড়াতালি দিয়ে কোনরকম নির্বাচনী বৈতরনি পার করা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু বিভিন্ন আদর্শের লোভি, দলছুট নেতাদের পদভারে নির্বাচন পরবর্তি প্রথম বছরেই ব্রাকেট বন্দির চুড়ান্ত মেরুকরণ ঘটে যাবে,কোন সন্দেহ নেই।আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কৌশলেই দলটি’র পরিস্কারভাবে ত্রিধারায় বিভাজন ঘটবে।
এর মধ্যে বিএনপির অভ্যন্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অতীতে যেকোন কারনে বিএনপিতে নাম লেখানো নেতাদের উদারতা দেখানোর প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতাকর্মীগন এতদিন দলটিতে কোনঠাসাই ছিলেন বলতে গেলে।কেউ কেউ দল ছেড়ে আওয়ামীলীগের উদারতার অভাবে নতুন দল সৃষ্টি করে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন।কেউবা রাজনীতি ছেড়ে ভিন্ন কোন পেশায় মনোনিবেশ করেছেন। অনেকেই দলের মধ্যে কোনরকম অশুভের তাঁবেদারী করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। যেকোন নেতার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হলে, বিএনপি দলে ধারাটি সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ধারা হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
দ্বিতীয় শক্তিশালী পক্ষটি খালেদা জিয়ার অনুসারীদের নিয়ে ফখরুল সাহেব অথবা কোকোর বিধবা স্ত্রী’ শর্মিলা’র নামে ব্রাকেট বন্দি হবে,নিশ্চিত করে বলা যায়।এই অংশটি মধ্যপন্থা অবলম্বন করবে(নয় মুক্তিযোদ্ধা,নয় রাজাকার)।শেষ পয্যন্ত এই ধারাটি মূলধারার বিএনপির প্রতিনীধিত্ব করবে।
তৃতীয় ধারাটি হবে তারেক জিয়ার অনুসারীদের নিয়ে গায়েশ্বর বাবু, মান্না সাহেব অথবা তারেকে’র স্ত্রী’ জোবায়দার নামে ব্রাকেট বন্দি।এই অংশটি সম্পুর্ণ জামায়াতিদের আধিক্যে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির সমাহারে গড়ে উঠবে।তাঁরা মূল ধারার বিএনপির প্রতিনীধিত্ব কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করবে, কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে।
দেশ ও জনগনের বৃহত্তর স্বার্থে আওয়ামীলীগ যদি মনেপ্রানে এইমহুর্তে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান চায়, তাহলেই কেবল তা সম্ভব হতে পারে।খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া প্রভাবমুক্ত বিএনপি দলের অংশটি যার নেতৃত্বেই আত্মপ্রকাশ করুক না কেন,সঙ্গত কারনেই তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের পক্ষের হবে,এতে সন্দেহ করার কোন কারন নেই।
এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা রাজনৈতিক ছাড় দিয়ে হোক বা অন্যকোনভাবে হোক কিঞ্চিৎ সহযোগীতার হাত প্রসারীত করা সময়ের দাবী। ইহা একান্ত সত্য যে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং পিচ্ছিল টার্ণিং পয়েন্টে স্থির দাঁড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার গত দশবছরের রাজনৈতিক দৃড়তা,প্রায় অর্ধশত বছর রাজপথে মুক্তিকামী জনতার রক্তের বন্যায় নির্মিত সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ কাংক্ষিত টার্ণিং পয়েন্টে এসে সবেমাত্র স্থির হয়েছে।
দেশদ্রোহী ষড়যন্ত্রকারীদের মৃত্যুর আগে মরণকামড়ের লালায় পথটি অনেকটা পিচ্ছিল হয়েছে বটে, তবে পাড়ি দেয়া খুব কঠিন হবেনা। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নাতীত বিচক্ষনতা, ধৈয্যের পরাকাষ্টায় আরোহন করে সফলভাবে পিচ্ছিল বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে পারবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ। তাঁরজন্য অপেক্ষা আর বেশী দেরি নেই, মাত্র ৬০ দিনের দুটি মাস।
-বিজয়ের মাসে অতি প্রয়োজনীয় আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় বাঙ্গালী জাতীর সামনে উপস্থিত হয়েছে।যুগেযুগে,কালেকালে–যে বিজয় স্বাধীনতাকামী জনগনের কামনা, বাসনা। আমাদের কাংক্ষিত বাংলাদেশে সেই বিজয়ের হাসি ধরা দিয়েছে প্রায় অর্ধশত বছর প্রতিনিয়ত ফোঁটা ফোঁটা রক্তের বৃষ্টিতে সাগর সৃষ্টি হওয়ার পর। যাহা অন্যকোন স্বাধীন দেশে কখনো প্রয়োজন হয়নি, আগামীর বিশ্বের কোন দেশেও হবে বলে মনে হয়না।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হবে অশুভশক্তি মুক্ত, দেশবিরুধীমুক্ত। অর্ধশত বছর মুক্তিযুদ্ধের কাংক্ষিত গনতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথ চেয়ে আছে বাংলাদেশের জনগন। জনগন মনে প্রানে বিশ্বাস করে এই ডিসেম্বর মাসেই বাংলার মাটিতে দেশবিরুধী অশুভশক্তির চিরতরে কবর রচিত হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বিগত চল্লিশটি বসন্ত প্রতিকূল পরিবেশ দৃড়তার সঙ্গে মোকাবেলা করে, বার বার মৃত্যুঝঁকি মাথায় নিয়ে আজকের এই রাজনীতির টার্ণিং পয়েন্টে দেশকে নিয়ে এসেছেন।আগামী দুই মাসে তাঁর প্রাজ্ঞতা, ধৈয্য, বিচক্ষনতা, দুরদর্শিতায় উদ্ভব হবে মুক্তিযুদ্ধের কাংক্ষিত বাংলাদেশ।
আমি দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি একাদশ নির্বাচনের পরবর্তি একবছরের মধ্যে যেকোন ক্লিন ইমেজের নেতার নেতৃত্বে তৃনমুল বিএনপির বড় একটি সমর্থক গোষ্টিসহ সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা অংশটি বেরিয়ে আসবে। এই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিটি আগামীর ‘মুক্তিযুদ্ধের গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার’ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আজকের এইদিনে যে সমস্ত বঙ্গবন্ধুর শিপাহশালার তাঁরকন্যার নিয়ন্তর প্রচেষ্টা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নভঙ্গের শফথ গ্রহন করেছেন,আমার বিশ্বাস অচিরেই তাঁদের হারানো চেতনা ফিরে আসবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনগনের কাংক্ষিত চাহিদা পূরণ করার বৃহত্তর স্বার্থে অচিরেরই অচেতন ঘুমেরঘোর কেটে যাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মানের স্বপ্নভঙ্গের বজ্রকঠিন শফথ পরিবর্তিত হবে।সেই শফথ দেশদ্রোহী নির্মূলে ইস্পাতকঠিন শফথে রুপান্তর ঘটবে। সকল মহলের সম্মিলীত শক্তি গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় একে অপরের পরিপূরক হবে। সকল মহলের ধৈয্য, বিচক্ষনতা, দুরদর্শিতা দেশবিরুধী অশুভশক্তির শেষ চিহ্নটুকু বাংলার মাটি থেকে মূছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।সেই আশা, বিশ্বাস নিয়েই বসে আছি আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মানের সংকটোত্তিন্ন ফলাফলের আশায়।
ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ জয়ী হবে, জয়ী হবে ৩০ লক্ষ শহিদের মুক্তিযুদ্ধ।।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*