প্রাণের ৭১

করোনায় মৃত্যুর হার কমেছে ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালি, ফ্রান্স এবং স্পেনে মৃত্যুর হার সাম্প্রতিক সময়ে হ্রাস পেতে থাকায় ধীরে ধীরে নিজেদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় কিছু দেশ।

ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের কোভিড-১৯ মহামারির সর্বশেষ অবস্থা:

ইতালি:

দেশটির নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে লকডাইনে থাকা ইতালিতে ২৬ হাজার ৬৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সংক্রমণ, মৃত্যু ও পুনরুদ্ধারের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ জনে।

তবে আইসিইউতে নতুন মৃত্যু, নতুন সংক্রমণ এবং নতুন রোগীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে (আইসিইউ) কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়া অব্যাহত রয়েছে, যে প্রবণতা শুরু হয়েছিল তিন সপ্তাহ আগে। রবিবার ২ হাজার ৯ জন রোগী আইসিইউতে ছিলেন, এক দিন আগে যেখানে ছিলেন ২ হাজার ১০২ জন।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে রবিবার বলেছেন, আগামী ৪ মে থেকে উৎপাদন, নির্মাণ এবং পাইকারি খাতগুলো আবার কাজ শুরু করতে পারবে। ১৮ মে থেকে খুচরা বিক্রেতা, যাদুঘর, গ্যালারি এবং গ্রন্থাগারগুলো এবং ১ জুন থেকে বার, রেস্তোঁরা, হেয়ারড্রেসার এবং বিউটি সেলুনগুলো চালু করা যাবে।

স্পেন:

রবিবার স্প্যানিশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৮৮ জনের মৃত্যু নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩ হাজার ১৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক দিন আগে ৩৪৮ জনের মৃত্যুর পর এ সংখ্যা পর দিন ৯০ জন কমেছে। এছাড়া মহামারি শুরুর পর থেকে প্রথমবারের মতো করোনা আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০ এর নিচে নেমেছে।

একইসাথে দেশটিতে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যাও।

ফ্রান্স:

রবিবার পর্যন্ত ফ্রান্সে কোভিড-১৯ এ আরও ২৪২ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৮৫৬ জনে। তবে এটি চলতি সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন দৈনিক মৃত্যুহার, যা দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বস্তি এনেছে। সরকার আগামী ১১ মে থেকে লকডাউন তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।UNB






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*