প্রাণের ৭১

দক্ষীন চীন সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠবে জাপান।

দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে হেলিকপ্টারবাহী বড় যুদ্ধজাহাজ পাঠাবে জাপান। বার্ষিক ভ্রমণের মাধ্যমে কৌশলগত সামুদ্রিক অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। আগামী সেপ্টেম্বরে যুদ্ধজাহাজটি তার দুই মাসের ভ্রমণ শুরু করবে। জাপানের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই এলাকাটিতে উপস্থিতি বাড়াচ্ছে জাপান। ওই অঞ্চলেই জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথের অবস্থান। গত বছরও দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল তারা।
জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমর্থনে জাপানে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এটা করা হচ্ছে’। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি আরও জানায়, ২৪৮ মিটার দৈর্ঘে্যর ‘কাগা’ নামের যুদ্ধজাহাজটি থেকে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার একযোগে উড্ডয়ন করতে পারে। জাহাজটি ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে থামবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার বন্দরেও যাত্রাবিরতি করবে জাহাজটি।
দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ এলাকা নিজেদের দাবি করে থাকে চীন। তারা সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করছে। তবে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই এটা করা হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে চীন। এছাড়া ভারত মহাসাগরেও নৌ-বাহিনীর অভিযান জোরদার করেছে চীন। নৌ-চলাচল অবাধ রাখা নিশ্চিত করার কথা বলে দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত বিমান ও নৌ-টহল চালিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র হাওয়াইয়ে তাদের ‘প্যাসিফিক কমান্ড হেডকোয়ার্টার্সে’র নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড’ রেখেছে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তর আঞ্চলিক কৌশলের ইঙ্গিত হিসেবেই তা করা হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ নৌ-চলাচল কার্যক্রমে জাপান অংশ নেয়নি। কারণ তা পশ্চিম চীন সাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে চীনকে উস্কানি দিতে পারে। সেখানে জাপানের ‘সেনকাকু’ ও চীনের ‘দিয়াওউ’ দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

এএফফি






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*