প্রাণের ৭১

বান্দরবানে ব্রাশফায়ারে জেএসএস নেতাসহ নিহত ৬

বান্দরবানে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে সদর উপজেলার বাগমারায় জেএসএস সন্তু গ্রুপের ব্রাশফায়ারে জেএসএস সংস্কারপন্থি গ্রুপের জেলা সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। নিহতরা হলেন জেএসএস সংস্কারপন্থী দলের সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যা, সহ-সভাপতি প্রসিত তংচঙ্গ্যা, ডেবিড বাবু, মিলন চাকমা, জয় ত্রিপুরা ও দীপেন চাকমা। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত বিদ্যুৎ ত্রিপুরা, নিতাই চাকমা ও হ্লাওয়াই চিং মারমাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে এমএন লারমা গ্রুপের বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা জানান, জেলায় সংগঠনের প্রসারের কাজ চালিয়ে নিতে, নেতা-কর্মীদের আরও সংগঠিত করে তুলতে এবং নতুন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতা-সদস্যরা জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় সন্তু লারমা গ্রুপের অস্ত্রধারী পাঁচ-ছয়জন সন্ত্রাসী পাড়ার পূর্ব দিকের পাহাড় থেকে নেমে এসে সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাড়িতে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বান্দরবান সভাপতিসহ তাদের দলের ছয়জন নিহত হয়েছেন। এদিকে জেএসএস মূল দলের সন্ত্রাসীদের গুলিতে সংস্কারপন্থী এমএন লারমা গ্রুপের ছয়জন নিহত এবং তিনজন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে। এ বিষয়ে বান্দরবান পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানে সেনা টহলও চলছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মূলত দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা শুনতে পেয়েছি। ’ অন্যদিকে এ হত্যার ঘটনায় বান্দরবানে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জেলাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানে জেএসএস সন্তু গ্রুপ একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। সম্প্রতি জেএসএস সংস্কারপন্থীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ-সংঘাত বেড়েই চলেছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*