প্রাণের ৭১

সৌদি তরুণী রাহাফ কানাডাতে আশ্রয় পেলেন।

পরিবার থেকে পালানো সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ মুতলাক আল-কুনুন (১৮) অবশেষে থাইল্যান্ড ছেড়ে কানাডায় বৈধ আশ্রয় পেলেন। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাকে আশ্রয় দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

যদিও হঠাৎ করে রাহাফের টুইটার একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তার আশ্রয়ের ব্যাপারে থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষের বক্তব্য প্রত্যাহারে সংশয় তৈরি হয়েছিল।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের অভিবাসন পুলিশ প্রধান সুরাসাতি হাকপার্ন জানান, ‘অস্ট্রেলিয়া তার শরণার্থী আবেদন গ্রহণ করেছে। কিন্তু তিনি কোথায় যেতে চান সে বিষয়টি জানতে অপেক্ষায় আছি। কুনুনকে আশ্রয় দেয়ার জন্য কানাডাও প্রস্তাব দেয়।’ তিনি কানাডায় যেতে রাজি হয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, রাহাফকে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করলেও পরে অভিবাসন পুলিশের প্রধান তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরপর রাহাফের পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। তার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠা আরও বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে সাংবাদিক সোফি ম্যাকনিল টুইটারে জানান, রাহাফ নিরাপদে আছেন। টুইটারে তাকে অনেকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আপাতত তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে।
পরিবারের সঙ্গে কুয়েতে বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে পালিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী এই রাহাফ । থাইল্যান্ড হয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যাংককের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয়প্রার্থী রাহাফকে আটক করে হোটেলের একটি রুমের ভেতর বন্দি রাখা হয়। জোর করে তাকে কুয়েতেগামী বিমানে তুলে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এক পর্যায়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা তাকে বৈধ শরণার্থীর স্বীকৃতি দেয়। এরপর শরণার্থী সংস্থার তত্ত্বাবধানে তাকে থাইল্যান্ডে রাখার ব্যাপারে সম্মত হয় সে দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*