প্রাণের ৭১

অবশেষে রাজনীতিতে মাশরাফি, নিলেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম।

প্রায় বছরখানেক ধরে সারাদেশে জল্পনা চলছিল, জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আওয়ামী লীগের হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। কিন্তু রাজনীতিতে প্রবেশ করা নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে কোনো কথাই বলেননি টাইগার অধিনায়ক।

গতকাল রবিবার আবারও বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়। রাতে শংকা জেগেছিল পুনরায়। অবশেষে আজ রবিবার আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা। দেশের বাইরে ক্রিকেটখেলুড়ে দেশগুলোতে তার ভাবমূর্তিও ইতিবাচক। পায়ে ৭টি অপারেশনের ধকল সহ্য করে এখনও ২২ গজে বল হাতে ঝড় তোলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে তিনি বিশ্বের সেরাদের কাতারে আছেন। দেশকে এনে দিয়েছেন অনেক সম্মান। পাশাপাশি গণমাধ্যমে সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে, দেশের কৃষক-শ্রমিকদের সম্মান জানিয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

তাই ম্যাশের মনোনয়নপত্র তোলার খবরে মিষ্টি বিতরণ হচ্ছে তার নির্বাচনী এলাকা নড়াইলে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রির মাঝে গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার মনোনয়নপত্র কিনবেন মাশরাফি-সাকিব। কিন্তু গতকাল রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন সাকিব আল হাসান। তখন থেকেই জল্পনা চলছিল, মাশরাফিও কি নিজের অবস্থান বদলাবেন? নাকি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার মনোনয়নপত্র কিনবেন? সব জল্পনার অবসান হলো আজ দুপুরে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দোয়া নিয়ে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।

ক্রিকেটের পাশাপাশি নিজের এলাকার মানুষের পাশে সবসময় দাঁড়িয়েছেন ম্যাশ। তার ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ জেলার ক্রীড়া, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্সের হয়ে শিরোপা জেতেন মাশরাফি। পুরস্কার হিসেবে তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স আবদার করেন নিজের এলাকার মানুষের জন্য। আধুনিক সরঞ্জাম সমৃদ্ধ সেই অ্যাম্বুলেন্স এখন সেবা দিয়ে যাচ্ছে নড়াইলবাসীকে।

রাজনীতিতে প্রবেশের মাধ্যমে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল ম্যাশের। ওয়ানডে দলকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুদায়িত্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে তাকে। সবকিছু ঠিক থাকলে তার নেতৃত্বেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। হাতে খুব সময় নেই। তাছাড়া নির্বাচনও ঘনিয়ে আসছে। ক্রিকেট মাঠের দক্ষ নেতা মাশরাফি এই দুই দায়িত্ব সমানতালে সামলে যাবেন বলেই মনে করছেন সবাই।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*