প্রাণের ৭১

আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক দিনে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের আজকের অঙ্গীকার।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাঙালি জাতি সমগ্র বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। যে মর্যাদা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাঙালি জাতি হারিয়ে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার হারানো স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই এই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আজ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বাংলার জনগণ কিছু না কিছু পেয়েছে।
বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী দেশের সব থেকে প্রাচীন এবং বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, চার জাতীয় নেতা এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী দলের নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে অপর একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ এবং এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, এডভোকেট সাহারা খাতুন, ড. আবদুর রাজ্জাক, এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, এডভোকেট আবদুল মান্নান খান এবং পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসএস রেজাউল করিম, রেলওয়ে মন্ত্রী এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমেদ হোসেন ও এডভোকেট মেজবাহউদ্দিন সিরাজ এবং দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৯৪৯ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরবর্তীতে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক-রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়।

BSS






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*