প্রাণের ৭১

আজ আন্তর্জাতিক যুব দিবসঃ ‘বৈশ্বিক কর্মে যুবশক্তি’-মোহাম্মদ হাসান

আজ ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’। এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘বৈশ্বিক কর্মে যুবশক্তি’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি।

তারুণ্যের বিকাশ ও উন্নয়নে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব মিনিস্টার রেসপনসিবল ফর ইয়ুথ’ ১২ আগস্টকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ হিসেবে উদ্‌যাপনের প্রস্তাব করে। পরের বছর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটি পালন করা হচ্ছে।

১৯৯৯ সালে ১২ আগস্ট, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস ঘোষিত হয়।

সম্ভাবনাময় দেশে দেশে বিদ্যমান যুবশক্তিকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার প্রয়াসে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য এর আগেই জাতিসংঘ ১৯৮৫ সালে আন্তর্জাতিক যুববর্ষ ঘোষণা করে। … শান্তি, অর্থনৈতিক গতিশীলতা, সামাজিক সুবিচার, সামাজিক সংহতি ও সহনশীলতা প্রধানত নির্ভর করছে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের তারুণ্যের শক্তির ওপরে। এখন বিশ্বের ৪০ কোটিরও অধিক তরুণ নারী ও পুরুষ সশস্ত্র সংঘাত কিংবা সংঘবদ্ধ সহিংসতা সহ্য করে বাস করছেন। … নিজেদের অধিকার প্রশ্নে তরুণ প্রজন্মের লক্ষ লক্ষ সদস্য বঞ্চনা, হয়রানি, চোখ রাঙানি এবং অনান্য সামাজিক গণতান্ত্রিক নীতি লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণ, নারী ও কিশোরীরা অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।

বর্তমান বিশ্বে ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সের মধ্যে ১৮০ কোটি (১.৮ বিলিয়ন) যুবক-যুবতী রয়েছেন যা এ যাবৎ নবীন মানুষের সর্ববৃহৎ জনসংখ্যা। তবে, এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে বর্তমান বিশ্বে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সমস্ত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীর অর্ধেকেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষা, ন্যূনতম পড়াশোনা এবং প্রাথমিক গণিতে ভয়ানক দক্ষতার অভাব রয়েছে, যদিও তাদের বেশিরভাগই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। এই বৈশ্বিক শিক্ষার সঙ্কট মারাত্মকভাবে অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে উঠবে।

করোনা মহামারির মধ্যে যুব সমাজের জন্য নিরাপদ জায়গার খুব বেশি প্রয়োজন আজ। একক কিংবা যৌথ প্রচেষ্টায় সে যখন কাজ করছে অর্থাৎ লেখাপড়া করছে কিংবা খেলাধুলায় অংশ নিচ্ছে তখন তাকে সুরক্ষা দিতে হবে। তার যা কিছু সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার তা পূরণ করতে হবে। মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার জন্য তার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। তারা যেন নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পারে, তারা যদি প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা পাহাড়ে বাস করে তাহলেও তাদের মানবাধিকার যেন বজায় থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। অবশ্য এই একবিংশ শতাব্দীতে যুবসমাজ অনেক পাল্টে গেছে।

বর্তমান যুবসমাজকে বলা হয় ডিজিটাল তরুণসমাজ। ফেসবুক ও ইউটিউব নির্ভরশীল এই জনগোষ্ঠী লেখাপড়া কিংবা চাকরির বাইরে চব্বিশ ঘণ্টার বেশিরভাগ সময়ই ব্যয় করে থাকে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে। ফলে আমরা যে ধর্মীয় উগ্রবাদিতা কিংবা মাদকাসক্তি থেকে তাদের রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি সেখানে সাংস্কৃতিক জাগরণের গুরুত্ব এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অথচ অতীতে এদেশের তরুণরাই জাতীয় জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখে গেছেন। সূর্যসেন-প্রীতিলতার ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বের জয়গান কিংবা বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, বাষট্টি’র শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে এদেশের যুব সমাজের। অবশ্য একথা ঠিক ১৯৭১ সালে তরুণরা যুদ্ধ করেছিলেন দেশের বাইরের শক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু বর্তমানের যুবসমাজ দেশের ভেতরে অর্থাৎ ঘরের ভেতরের শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করছে। বাংলাদেশের ভেতর এমন কতকগুলো সংগঠন রয়েছে যারা বাঙালি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে না এবং যারা ধারণ করে তাদেরকে দমন বা হত্যা করার চেষ্টা করে।

২০১৬ সালের ১ জুলাইয়ের হলি আর্টিজানে সংঘটিত ধর্মীয় উগ্রবাদিতার নিষ্ঠুরতার পরও যুবসমাজকে নিয়ে আমাদের স্বপ্ন রয়েছে বিশাল। কারণ ওই ঘটনার আগে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তরুণরাই। আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষত আরব-বসন্তের নেতৃত্ব ছিল তরুণ সমাজের হাতে। মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন, তিউনিসিয়া, বাহরাইনে বেকারত্ব, অর্থনৈতিক মন্দা আর স্বৈরশাসকের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তরুণরাই মূল ভূমিকা রেখেছে। এজন্য আন্তর্জাতিক যুব দিবসের তাৎপর্য অনেক বিশদ। মহামারি মোকাবেলায় তাদের সাহসী কাজের অবদান গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিংশ শতাব্দী ছিল বিশ্বব্যাপী যুবসমাজের অঢেল অর্জন আর অধিকার আদায়ের স্মরণীয় যুগ। একারণে এই একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়নের যুগে দাঁড়িয়ে ওই শতাব্দীর তরুণদের নিজ নিজ যোগ্যতা ও মেধার মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করার বিষয়টি আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। কেবল রাজনীতি নয় পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সমাজ পরিবর্তনের নানা ক্ষেত্রে তারা পাঠ্যসূচির বাইরে অবদান রেখেছেন। শিক্ষা পরিকল্পনা থেকে শুরু করে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন তারা। জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং, শান্তির পক্ষে উচ্চকণ্ঠ হতে দেখা গেছে তরুণদের। আফ্রিকা জুড়ে জাতিগত দাঙ্গার প্রসঙ্গে তারা মানবতার পক্ষে কথা বলেছেন। যুদ্ধ বিরোধী নেটওয়ার্ক অনেক আগে থেকেই অনেক দেশে সচেতন জনগোষ্ঠীর চর্চিত বিষয়। বিশ্বব্যাপী নিজেদের অধিকারের কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে বর্তমান প্রজন্ম, বর্ণবাদ বিরোধী হয়ে উঠেছে, অসাম্প্রদায়িক শক্তির জয়গান গাইছেন, পরিবেশ রক্ষায় ও দূষণ মুক্তে নিবেদিত হয়েছেন। মেক্সিকোর যুবসমাজ নিজের দেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। শিক্ষা সকলের অধিকার বলেই তারা স্বল্প ব্যয়ের পক্ষে স্লোগান তুলেছেন।

তবে সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তরুণদের সমাজের দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের চিন্তা-চেতনা হল কীভাবে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের চিন্তা-চেতনা ও কর্মসূচির সঙ্গে তরুণ সমাজের চিন্তা-চেতনার একটা গভীর মিল রয়েছে। মহামারি সত্ত্বেও বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উন্নয়ন, অগ্রগতির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও পথ রচনা করেছে। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৃতীয় মেয়াদের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি উপস্থাপন করা হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে।

নির্বাচনের ফলাফলে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং দেশকে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরেকবার দেশ সেবার সুযোগ পায়। তার আগেই এই সরকারের আগের আমলে শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে ওঠে; অন্যদিকে বেকারত্বের অবসান ও কোটি কোটি যুবসমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটচ্ছে; যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হচ্ছে, পরিকল্পিত নগর-জনপদ গড়ে উঠছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ সমৃদ্ধির সোপানে পা রেখেছে এখন। রাজনীতি থেকে হিংসা, হানাহানি, সংঘাতের অবসান হচ্ছে, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নের ধারা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে; গড়ে উঠেছে একটি সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা।

যুব জনগোষ্ঠী যেহেতু সামাজিকভাবে গঠিত একটি শ্রেণির মধ্যে পড়ে, সে জন্য ‘যুব’র সংজ্ঞা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে। যুব হচ্ছে জীবনের একটা পর্যায়, যাকে সাধারণত কৈশোর থেকে যৌবনে উত্তরণের সন্ধিক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় ব্যক্তি পর্যায়ে বাড়তি কিছু সুবিধা ও অধিকার ভোগ করলেও মানুষ পূর্ণ বয়স্কের মর্যাদা পায় না। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘যুব’র ব্যাপ্তি ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত। তবে বাংলাদেশে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত নরনারীকে যুবক–যুবতী বলে গণ্য করা হয়। যেভাবেই তাদের সংজ্ঞায়িত করা হোক না কেন, যুবসমাজকে তাদের নিজের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে হবে এবং তাদের একটি শক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।

কারণ, তারা সামাজিক–সাংস্কৃতিক কাঠামো এবং পরিপ্রেক্ষিতের ওপর প্রভাব ফেলে এবং তার মাধ্যমে প্রভাবিতও হয়ে থাকে। এই ‘প্রভাব ফেলা’ এবং ‘প্রভাবিত হওয়া’র ব্যাপারটা সামাজিক–সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ, বিশেষ করে যুবসমাজকে যখন এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনের প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত করার জন্য ভাবা হচ্ছে। এ জন্য যা যা করতে হবে:

★ যুবসমাজের ক্ষমতায়ন অবশ্যই হতে হবে, যাতে তারা তাদের অধিকার আদায় ও নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। এটা দেশের এবং মানবতার অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

★ বাল্যবিবাহ, অল্প বয়সে বা অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধে কাজ করতে হবে। অল্প বয়সে বিয়ে, গর্ভধারণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগের অভাব (যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাসহ), পুষ্টির অভাব এবং লিঙ্গবৈষম্য এখনো লাখো কিশোরী ও নারীর অগ্রগতি ব্যাহত করছে। উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তাদের যুক্ত করা যাচ্ছে না।

★ দেশ থেকে অপুষ্টি দূর করতে হবে। অপুষ্টি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। ব্যক্তি পর্যায়ের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায়ও এর প্রভাব পড়ে। অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর উৎপাদন খাতে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। এই ক্ষতির প্রভাব জীবনভর স্থায়ী হয়। ফলে স্বাস্থ্য নাজুক হয়, শিক্ষা অর্জনে পিছিয়ে থাকতে হয় এবং উৎপাদনশীলতা ও উপার্জনের সম্ভাবনা কমে যায়।

★ যুব জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

বাংলাদেশে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৪ শতাংশ। দেশের উন্নয়নে যাতে জনসংখ্যার এই বিশাল অংশটি ভূমিকা রাখতে পারে, সে জন্য তাদের প্রভাবিত করতে হবে। সে জন্য যা করতে হবে সেগুলো হচ্ছে:

প্রথমত, দেশটির যুবসমাজের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও দক্ষতার উন্নয়নে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত ও জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের কিশোরীদের প্রয়োজন মেটানোর জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

দ্বিতীয়ত, এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের উন্নয়নকাজে তরুণদের সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিতে হবে। তাদের অগ্রগতি ও মতামত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*