প্রাণের ৭১

আজ কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব

আজ কালীপূজা। দুর্গোৎসবের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবটি আবার শ্যামাপূজা নামেও পরিচিত। একই সঙ্গে আজ উদযাপিত হবে দীপাবলি উৎসব।

 

হিন্দু সম্প্রদায় কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত কালীপূজা বা শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। করোনাভাইরাস মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার এই পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

 

 

পূরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা’, ‘আদ্য মা’, ‘তারা মা’, ‘চামুন্ডি’, ‘ভদ্রকালী’, ‘দেবী মহামায়া’সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।

 

কালীপূজার দিন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। একে বলা হয় দীপাবলী।

 

দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

 

হিন্দু লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামে শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন

রামকৃষ্ণ মঠের সহঅধ্যক্ষ ও মিশনের সহসম্পাদক হরিপ্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, শনিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এখানে পূজা আরম্ভ হবে। রাত ৩টায় পুস্পাঞ্জলি প্রদান এবং রাত ৪টায় হোম অনুষ্ঠিত হবে।

 

তিনি বলেন, স্বাস্থবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভক্তরা পুস্পাঞ্জলি প্রদান করবেন।

 

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কেন্দ্রীয় পূজা

রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শ্যামাপূজা উদযাপিত হবে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সহস্র প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে দীপাবলি উৎসব এবং রাতে শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

 

দীপাবলী উৎসবের উদ্বোধন করবেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

 

অন্যান্য মন্দিরের পূজা

পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশান, তাঁতিবাজার, শাঁখারীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, পাঁচ শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী বনগ্রাম রাধা গোবিন্দ জিও মন্দির, জয়কালী মন্দির, রামসীতা মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, রমনা কালী মন্দির, রাজারবাগের বরদেশ্বরী কালীমন্দিরসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

 

এসবের মধ্যে রয়েছে ফানুস ওড়ানো, প্রদীপ প্রজ্বালন, ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, আরতি ও প্রসাদ বিতরণ প্রভৃতি।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*