প্রাণের ৭১

আজ মধ্য রাত থেকে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ

 শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন প্রজনন মৌসুমে দেশে ইলিশ মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক আজ শনিবার বাসস’কে একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “প্রতিবছরের মতো এবছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০১৮’ এর আওতায় এ বছর ৭ হতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন উপকূলীয় চিহ্নিত ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার ‘ইলিশের প্রধান প্রজনন ক্ষেত্র’সহ দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”
আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক আরও জানান, এই ২২ দিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আইন অনুযায়ী ১ থেকে ২ বছর মেয়াদে জেল অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। একই অপরাধ ২ বার করলে শাস্তি দ্বিগুণ হবে।
মহাপরিচালক বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক জেলেদের এই ২২ দিন ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।
রাশেদুল হক ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমে দেশবাসীর সহযোগীতা কামনা করে বলেন, এ কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে সরকারী প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আপামর জনগণ-বিশেষ করে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আন্তরিক সহযোগীতা অপরিহার্য।
সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহবায়ক করে সহযোগী সকল সংস্থার প্রতিনিধিকে অন্তর্ভূক্ত করে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও দেশব্যাপী বাস্তবায়িত কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরে কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল, বিভাগীয় মনিটরিং টিম এবং সদর দপ্তর ও বিভাগীয় দপ্তরে কন্ট্রোল রুম গঠন করা হয়েছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*