প্রাণের ৭১

আফগান ক্রিকেট বন্ধ করে দিতে চায় জঙ্গিরা

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদের রাজধানী নানগরহারে অনুষ্ঠিত একটি ক্রিকেট ম্যাচে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন। পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে এটাই প্রথম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা।

 

 

ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই মাসেও জঙ্গিদের হামলা থেমে নেই। আফগান রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি শনিবার জালালাবাদের এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামে আগত দর্শকদের মাঝে প্রথম বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। ঘরোয়া ‘রমজান কাপ’ টুর্নামেন্টে ম্যাচটি চলাকালীন এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রাদেশিক সরকার সূত্র নিশ্চিত করেছে। হতাহতের এই ঘটনায় এখনো কোন গোষ্ঠী বা সংগঠন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। এক বিবৃতিতে তালেবানরা এর দায় অস্বীকার করেছে। সরকারের সন্দেহ এখন আইএসের দিকে।

 

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কাবুলে একটি ক্রিকেট ম্যাচে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছিল। কোনো কারণ কিংবা কোনো উস্কানি ছাড়াই জঙ্গিরা এরকম ঘটনা নিয়মিতই ঘটিয়ে যাচ্ছে।

 

 

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে প্রায়শই এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে চলছে। শরীর ও মনের সুস্থ বিকাশের জন্য যা কিছু দরকার, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বিকৃত মস্তিষ্ক জঙ্গিরা।

সম্প্রতি টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বেশ নাম করেছে আফগানিস্তান। কিন্তু জঙ্গিদের বর্বরতায় তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিশেষ করে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে তাদের বেছে নিতে হচ্ছে নিরপেক্ষ কোনো দেশকে। তারপরেও শিগগিরই তারা ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে। এছাড়া ভারতের মাটিকেই ‘হোম গ্রাউন্ড’ বানিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা।

এএফপি



« (পূর্বের সংবাদ)



মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*