প্রাণের ৭১

আল জাজিরা হতে সাবধান!

কাতারভিত্তিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক আল জাজিরার ভুয়া সংবাদ প্রচারের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও বহুবার এই অভিযোগে বিভিন্ন দেশে তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা রয়েছে। সবশেষ তাদের ভুয়া সংবাদের বলি হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। “অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান” নামের এই প্রামাণ্য চিত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সহ রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে বিষদাগার করা হয়েছে।

 

আল জাজিরা যে শুধু কোনো দেশের বিরুদ্ধেই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে তাই নয় তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তারা ব্যক্তিকেও ছাড় দেয় না। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে `নাস ডেইলি` এর সঙ্গে। তারা আল জাজিরার এই মিথ্যা সংবাদ প্রচার নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছে এবং তারা প্রমাণ তুলে ধরেছে যে আল জাজিরা কিভাবে মিথ্যা খবরগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়।

 

নাস ডেইলির একটি প্রতিষ্ঠান হলো নাস একাডেমি। মূলত এই নাস একাডেমিকে নিয়েই মিথ্যা খবর প্রকাশ করে আল জাজিরা। সেখানে আল জাজিরা অভিযোগ করে যে, নাস একাডেমি ইসরায়েলের পক্ষের শক্তি এবং তারা মানুষকে ইসরায়েল ভালোবাসতে প্রশিক্ষণ দেয়।  এই সংবাদ প্রকাশের পর আরব বিশ্বে নাস একাডেমির বিরুদ্ধে ঘৃণার সৃষ্টি হয়।  পরে তারা দেখতে পায়, আল জাজিরা তাদের নিয়ে যে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করেছে সেই একই সংবাদ তাদেরই অন্য অনেক পত্রিকাতে প্রকাশ করা হয়েছে এবং সেগুলো আবার স্পনসরও করা হয়েছে। যাতে করে মানুষের কাছে সেই ভুয়া সংবাদগুলো সহজেই পৌঁছে যায় এবং মানুষ সেগুলো বিশ্বাস করে।

 

তাদের ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়, আল জাজিরা একটি সংবাদ সংস্থা যাদের হাজারের বেশি কার্মচারী রয়েছে।  তারা যেকোনো মানুষকে আক্রমণ করতে পারে এবং যে কারো বিরুদ্ধেই ভুয়া খবর প্রকাশ করতে পারে কারণ তাদের কাছে রয়েছে প্রচুর টাকা।  তারা প্রতি বছরই ২০০ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি অর্থ পেয়ে থাকে। ফলে তারা যে কোনো কিছুই করতে দ্বিধা বোধ করে না।

 

ভিডিওতে তারা আরো উল্লেখ করে, আল জাজিরা দুই মুখো সাপের মতো আচরণ করে তাদের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে। এক এক দেশের জন্য তাদের নীতি এক এক রকম হয়ে থাকে।  যেমন, মধ্য প্রাচ্যের জন্য তাদের যে নীতি তার ঠিক উল্টো নীতি আবার পশ্চিমা বিশ্বের জন্য।  পশ্চিমা বিশ্বে তারা সমকামীদের অধিকারকে সমর্থন করে কিন্তু আরব বিশ্বে তারা সমকামীদের অধিকারকে দমন করে।  ফলে তারা আল জাজিরার এই দুই মুখো নীতিরও বিরোধীতা করে। এমনকি আল জাজিরা আমেরিকার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমেরিকার সরকার আল জাজিরাকে বিদেশিদের দালাল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল।

 

তারা এ সময় তাদের বিরুদ্ধে আল জাজিরার এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করে এবং ইসরায়েল সরকারের জন্য কাজ করে না বলে জানায়। এক্ষেত্রে তারা আল জাজিরাকে মনে করিয়ে দেয় যে, তাদের জন্য সারা বিশ্বে সাংবাদিকদের নাম খারাপ হচ্ছে। তারা যেনো এই পন্থা থেকে বের হয়ে এসে সত্যের পথে থেকে সংবাদ প্রকাশ করে।

 

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সম্প্রচারে আসার পর থেকেই নানান সময় বিতর্কিত এবং ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের অভিযোগ ওঠে টেলিভিশন নেটওয়ার্কটির বিরুদ্ধে। আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার এবং আরব দেশগুলোতে সরকার পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন সময় চ্যানেলটিকে ব্যবহার করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগও রয়েছে।

বাংলাইনসাইডার






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*