প্রাণের ৭১

ইইউতে থাকছে ব্রিটেন!

ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নেই থাকছে বলে মনে করছেন ব্রেক্সিট গণভোটের প্রচারণায় অর্থ সহায়তা দেওয়া ব্যক্তিরা। এই আশাবাদের মধ্যেই স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র দলের অনেক এমপিও বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন যারা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে থেরেসা মে যে পরাজয় বরণ করছেন এমন নির্দশন পাওয়া গেছে। খবর বিবিসি ও ইউ টুডে’র

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় পার্লামেন্টে ব্রেক্সিটের ওপর ভোট শুরু হওয়ার কথা। গতকাল সকালে শেষ দিনের মতো বিতর্ক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী মে সোমবার সন্ধ্যায় তার দলের এমপিদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। গতকাল তিনি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকেও ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, ভোট ব্যর্থ হলে ব্রিটিশ জনগনকে খাটো করা হবে। গণতন্ত্রকে অবজ্ঞা করা হবে। তিনি মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এটা হয়তো পুরোপুরি ঠিক নয়। কিন্তু ইতিহাস যখন লেখা হবে তখন লেখক পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের দিকে তাকাবেন এবং প্রশ্ন তুলবেন আমরা কী ভোটের অধিকার ঠিক রাখতে পেরেছি? নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড নিয়ে থেরেসা মে এমপিদের আশ্বস্ত করলেও কাজ হচ্ছে না। অধিকাংশ এমপি বিরোধিতাই করছেন। পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গোভ বলেন, এমপিরা ব্রেক্সিট ভোটকে প্রত্যাখান করলে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’র দিকে যাবে। এতে অর্থনীতির ক্ষতি হবে। আর ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ আসলে ব্রেক্সিট হবে না। অর্থাত্ ব্রিটেন শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নেই থেকে যাবে। এর আগে ইইউ’র একশ’ এমপি ইইউ থেকে বের না হতে ব্রিটিশ এমপিদের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন। বিরোধী লেবার পার্টিসহ সরকারি দলের এমপিদের একটা বিরাট অংশ ব্রেক্সিটের বিপক্ষে। ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট ভোটের প্রচারণায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থদাতা পিটার হারগ্রিয়েভস এবং হেইজ ফান্ডের ম্যানেজার ক্রিসপিন ওদেই। তারা দুইজনই বলেছেন, ব্রিটেন ইইউতেই থাকবে। ২০১৬ সালের ভোটকে এমপিরা প্রত্যাখান করবেন বলে তারা মনে করেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*