প্রাণের ৭১

ইয়েমেনে নিষিদ্ধ ‘গুচ্ছ বোমা’ হামলা চালিয়েছে সৌদি

ইয়েমেনের হাজ্জাহ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা হামলা চালিয়েছে সৌদি আরব। প্রদেশটির ‘আবাস’ এলাকায় অন্তত ১৪ দফা গুচ্ছ বোমা ফেলা হয়েছে। এ হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। এর আগেও একাধিকবার সৌদি আরব ইয়েমেনে গুচ্ছ বোমা ফেলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওইসব বোমায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা তাসনিমের।

ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা এমন এক ধরনের অস্ত্র, যেগুলোকে সাধারণত বিমান, রকেট, মিসাইল ইত্যাদির সাহায্যে দূরবর্তী লক্ষ্যের দিকে ছুঁড়ে দেয়া হয়। এগুলো সাধারণ বোমার চেয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট হয় এবং ছোড়া হয় গুচ্ছাকারে, একসঙ্গে অনেকগুলো। শত শত ক্ষুদ্রাকৃতির বোমা, যাদের ‘বোম্বলেট’ বলা হয়, তাদের সমষ্টিতে একেকটি গুচ্ছ বোমা বানানো হয় এবং ছোড়ার পরপরই এসব ‘বোম্বলেট’ বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

গুচ্ছ বোমা ছোড়ার জন্য মূলত বিমান ব্যবহার করা হয়। ওপর থেকে ছুড়ে দেয়ার ফলে নির্দিষ্ট কোনো সামরিক এলাকায় আঘাত না হেনে লোকালয়সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ওইসব এলাকাকে বসবাসের জন্য বিপজ্জনক করে তোলে। ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয় অসংখ্য বেসামরিক মানুষের।

এছাড়া ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমার ফেলার পর সেখানে সবগুলো ‘বোম্বলেট’ বিস্ফোরিত হয় না। যুদ্ধের পরও অবিস্ফোরিত অবস্থায় সক্রিয় এসব বোম্বলেট থেকে যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে যে কোনো অসতর্ক মুহূর্তে মানুষের স্পর্শে, অথবা অন্য কারণে বিস্ফোরণ ঘটে এবং প্রচুর প্রাণহানি ঘটায়।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এ ধরণের বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ। ২০০৮ সালে বিশ্বের ১১৯টি ভয়াবহ গুচ্ছ বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একটি চুক্তিতে সই করেছে। তবে সৌদি আরব ও আমেরিকা এখন পর্যন্ত ওই চুক্তিতে সই করে নি। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে সৌদি আরব ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*