প্রাণের ৭১

ইয়েমেনে মীরসরাইয়ের ৪ রাউজানের ১ জনসহ ৫ বাংলাদেশি ৫ মাস বন্দি

মোহাম্মদ হাসানঃ জীবিকার তাগিদে তারা প্রথমে ওমান যান। সেখান থেকে বৈধ ভিসাযোগে সমুদ্রপথে সৌদি আরব যাচ্ছিলেন কোম্পানির অধীনে কাজ করতে। এর মধ্যে ইয়েমেন উপকূলে প্রচন্ড ঝড়ের কবলে আটকে পড়ে জাহাজটি। সেই থেকে পাঁচ মাস ধরে ইয়েমেনে বন্দি আছেন তারা।

এই পাঁচ ভাগ্যাহতের মধ্যে মো. আবু তৈয়বের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। অন্যদের বাড়ি চট্টগ্রামের মীরসরাই। তারা হলেন বামনসুন্দর দারোগা হাটের বামণসুন্দর গ্রামের মো. আলমগীর, মাদবরহাট এলাকার মো. আলাউদ্দিন, ভরদ্বাজহাট এলাকার পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের মো. ইউসূফ ও মো. রহিম উদ্দিন। তাদের প্রত্যেকের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

রাউজানের আবু তৈয়বের স্ত্রী সাইফুন নাহার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে পারেননি তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পরিবারে সচ্চলতা ফেরানোর জন্য ১৯৯৬ সালে বৈধভাবে সুলতান অ্যান্ড সুলতান মুহাম্মদ কোম্পানির অধীনে ওমানে পাড়ি জমান আবু তৈয়ব। সবকিছু ভালোই চলছিল। ২০১৭ সালে ২১ আগস্ট দেশে এসে এক মাস অবস্থান করে পুনরায় চলে যান। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি চাকরির

সুবাধে কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় ভিসাযুক্ত পাসপোর্টসহ ৩টি জাহাজে করে অনেকের সঙ্গে এই পাঁচজনও সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেন। সৌদি সমীন্তবর্তী ইয়েমেনে পৌঁছলে ঝড়ের কবলে পড়ে ডানা-৬ নামে জাহাজটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে অন্য জাহাজে তোলা হয়। এর পর জাহাজটি ইয়েমেনে নোঙর করে। তখন সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জাহাজের সবাইকে আটক করে নিয়ে যান। ৩ মাস এ ব্যাপারে কোনো খবর পায়নি পরিবার। অবশেষে তাদের ইয়েমেনে বন্দি জীবনের খবর পাওয়া যায়। সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যের মোবাইল ফোন থেকে আবু তৈয়ব তার পরিবারকে এই বন্দিদশার খবর জানান।

ইয়েমেনের সানার জেলে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন এ ৫ বাংলাদেশি গত পাঁচমাস ধরে।

স্বজনদের অভিযোগ বারবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাননি দায়িত্বপ্রাপ্ত দূতাবাস থেকে। নিজ তাগিদে আটক নাগরিকদের ফেরানোর জন্য সরকারকে অনুরোধ অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*