প্রাণের ৭১

একাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা,ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন৷

আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ভোট করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের জন্য প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিক একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নভেম্বরের ৭ অথবা ৮ তারিখে তফসিল দিয়ে ২০ থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন ভোট করা হতে পারে। তবে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ১২ থেকে ১৪ তারিখে তফসিল দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনাটি কমিশন বৈঠকে উঠানো হবে। সেখানে আলোচনা করে কমিশন অনুমোদন দেবে।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সব পরীক্ষা শেষ করার জন্য ইসি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের সব পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের ২০ লাখের বেশি ভোটকক্ষের জন্য প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রস্তুত করবে ইসি। এ লক্ষ্যে ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি দেয়া হয়েছে মাঠকর্মকর্তাদের। এতে বলা হয়েছে, ৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং নির্বাচন ইনস্টিটিউটে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সব তথ্যসহ চূড়ান্ত তালিকা প্রেরণ করতে হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে সাত থেকে সাড়ে সাত লাখ। তফসিল ঘোষণার পরপরই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হবে।
ভোটের অন্তত ২৫দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ হবে। তারপর প্যানেল থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি; ভোটক ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। সে সময় ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৫৭৭ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।
সংসদ নির্বাচনে বরাবরই বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এবার কাদের দায়িত্ব দেয়া হবে- সে সিদ্ধান্ত কমিশন সভায় নেয়া হবে।
জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র লাগবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার, কেন্দ্রপ্রতি দুইজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রতি ভোটকে দুইজন করে পোলিং অফিসার থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার অনুপাতে দুই বা ততধিক ভোটক থাকে। তাতে ৮-১০ জন পোলিং অফিসার লাগবে কেন্দ্রপ্রতি।সব মিলিয়ে এবার সাড়ে সাত লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রথম শ্রেণী বা সমমর্যাদার, কলেজ, মাদরাসা, উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক ও সিনিয়র শিক বা সমমর্যাদার এবং প্রয়োজনে ব্যাংক-বীমার সমমর্যাদার কর্মকর্তারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন।
এসব প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা বা সমমর্যাদার কর্মকর্তারা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং সরকারি বা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক ও সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা পোলিং অফিসার হিসেবে থাকবেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*