প্রাণের ৭১

‘এমপি একরাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে’

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালীর মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারণাই ছিল না, তিনি আমাকে বললেন বঙ্গবন্ধুকে তো বাঁচাতে পারলেন না। এটা পরিষ্কার ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার মূলহোতা দুইজন। একজন খন্দকার মোস্তাক, আরেকজন হলো- যে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সেই জিয়াউর রহমান। গত মঙ্গলবার বিকালে নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় নোয়াখালীর অপরাজনীতির বিষয়ে কথা বলেন স্থানীয় বক্তারা। তারা বলেন, এখানকার এমপি একরামুল করিম চৌধুরী দলের পদ-পদবিতে বলিয়ান হয়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে অপরাজনীতির চর্চা করেছেন। দলের ভেতরে স্থান দিয়ে বিএনপি-জামায়াত এবং হাইব্রিডদের অর্থশালী করেছেন। অবমূল্যায়ন করেছেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের।

জেলায় টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতিতে নিজের বলয় গড়ে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, দলীয় সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তাদের সম্মানহানি করছেন। তার এইসব অপকর্মের কারণে দলীয় ফোরামে সর্বসম্মতিতে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়েছে। জনসভায় উপস্থিত জেলা, উপজেলা পর্যায়ের দলীয় নেতা এবং কর্মী-সমর্থকরা একরামুল করিম চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য গণদাবি তোলেন। জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, জাতীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম ও দ্বীপ বন্ধু আলহাজ মোহাম্মদ আলী। জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের সভাপতিত্বে ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সঞ্চালনায় জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদ উল্যাহ খান সোহেলসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*