প্রাণের ৭১

এশিয়ার সেরা ১০ সামরিক শক্তি ও বাংলাদেশ

সামরিক শক্তির দিক দিয়ে এশিয়া সারা বিশ্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহাদেশ। এশিয়ায় যেমন রয়েছে ভারত ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র তেমন বহু ছোট ছোট বিবদমান দেশ। এ তালিকায় তুলে ধরা হলো এশিয়ার সেরা ১০ সামরিক শক্তি।

১. চীন
চীনের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। দেশটিতে সক্রিয় সেনাসদস্য আছে ২৩ লাখ। এছাড়া চীনের রয়েছে স্বীকৃত আণবিক বোমা ও সর্বাধুনিক মিসাইল ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে চীনের সামরিক বাহিনী এশিয়ার শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।

২. ভারত
ভারতও চীনের মতো স্বীকৃত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বিশ্বের তৃতীয়। এ দেশটি সামরিক বাহিনীর জন্য ব্যয় করা অর্থের দিক দিয়ে বিশ্বের নবম। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে প্রায় এক লাখ ভারতীয় সেনাসদস্য কাজ করছে।

৩. তুরস্ক
তুরস্কের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪ লাখ ৯৫ হাজার। এ দেশটির সেনাসদস্য নেটো দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। তুরস্কের সামরিক বাহিনীর শুধু পদাতিক সেনাই নয়, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও প্রচুর। ন্যাটোর সদস্য হিসেবে তুরস্ক অন্যান্য দেশগুলো থেকেও আরও কিছু  সুবিধা পায়।

৪. দক্ষিণ কোরিয়া
সামরিক বাহিনীর জন্য ব্যয়কৃত অর্থের তালিকায় বিশ্বের ১০ম দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এ দেশটি তাদের মোট জাতীয় উৎপাদনের ২.৬ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে। এ দেশটির সক্রিয় সামরিক বাহিনীর সদস্য বিশ্বের ৬ষ্ঠ।

৫. জাপান
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর থেকে জাপানি সেনাবাহিনীকে সীমিত করা হয়েছে। তার পরেও জাপান বর্তমানে সামরিক শক্তিতে বেশ অগ্রগামী। জাপানের সামরিক বাজেট বিশ্বের অষ্টম। এখন শুধু আত্মরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাপানের সেনারা কাজ করতে পারে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর দীর্ঘদিন বিরতি শেষে ইরাকে যৌথ বাহিনীতে অংশগ্রহণ করে জাপানের সেনারা।

৬. ইসরায়েল
জিডিপির অনুপাতে সামরিক বাহিনীর অর্থ খরচ হিসাবে ধরলে ইসরায়েল উন্নত বিশ্বের মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ ব্যয় করে প্রতিরক্ষায়। ইসরায়েলের রয়েছে শক্তিশালী সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী। অনেকেরই ধারণা, ইসরায়েল পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে। তবে তা কখনো প্রকাশ করা হয়নি।

৭. পাকিস্তান
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। এ দেশটিতে পরমাণু বোমাসহ আরও বহুধরনের আধুনিক সমরাস্ত্রও রয়েছে। সেনাসদস্যের দিক দিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এশিয়ার মধ্যে সপ্তম বৃহত্তম।

৮. তাইওয়ান
চীনের অন্তর্গত হলেও তাইওয়ানের রয়েছে পৃথক সেনাবাহিনী। তাইওয়ানের সেনাবাহিনীর আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মারণাস্ত্রগুলো যে কোনো দেশের সেনাবাহিনীর জন্য ঈর্ষার বিষয়।

৯. ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর সক্রিয় সদস্য সংখ্যা প্রায় চার লাখ। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর ব্যয়ও প্রচুর। দেশটি জিডিপির প্রায় চার শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে।

১০. ভিয়েতনাম
ভিয়েতনাম সেনাবাহিনী ঐতিহাসিকভাবে লড়াকু এবং বহু যুদ্ধে জয়লাভ করেছে। ভিয়েতনামে যুগে যুগে হামলা করেছে চীন, মঙ্গোলিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র। পরে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে সব দেশকেই পরাজিত করেছে তারা। বর্তমানে সোশালিস্ট রিপাবলিক অব ভিয়েতনামের সেনাবাহিনী এশিয়ার ১০ম হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এশিয়ায় অবস্থান জানা না গেলেও দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক শক্তির দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের আগে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়া দেশের উন্নয়ন কাজে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

সূত্র : অনলাইন






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*