প্রাণের ৭১

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

 

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, পরীক্ষার পর তিনি কোভিড পজিটিভ বলে রেজাল্ট এসেছে।

 

এক বিবৃতিতে এলিসি প্যালেস জানায়, কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দেয়ার পর টেস্ট করানো হয় ৪২ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের। আগামী সাত দিন আইসোলেশনে থাকবেন তিনি।

 

এক কর্মকর্তা জানান, মি. ম্যাক্রোঁ এখনো দেশ পরিচালনার “প্রধান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন” এবং তিনি আইসোলেশনে থেকেই কাজ করবেন।

 

ফ্রান্সে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে চলতি সপ্তাহে রাতের বেলা কারফিউ জারি করা হয়েছে।

 

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছে ৫৯ হাজার ৪০০ জন।

 

বৃহস্পতিবার সকালেই এলিসি প্যালেস জানায়, “কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার কারণে এ বিষয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।”

 

“প্রথম দিকেই উপসর্গ দেখা দেয়ার সাথে সাথে টেস্ট করানো হয়েছে” এবং সে অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

মি. ম্যাক্রোঁ কীভাবে কোভিডে আক্রান্ত হলেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি যাদের সাথে মেলামেশা করেছেন তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে।

 

কর্মকর্তারা বলছেন, ৫৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্সও আইসোলেশনে রয়েছেন, কারণ তিনি প্রেসিডেন্টের কন্টাক্টে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

বৃহস্পতিবার সিনেটে সরকারের কোভিড ভ্যাকসিনেশন নীতি উপস্থাপন করার কথা ছিল তার। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে এটি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থাপন করবেন।

 

তবে মি. ম্যাক্রোঁর ৬৭ বছর বয়সী স্ত্রী ব্রিজিট ম্যাক্রোঁও কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেনে কিনা বিবৃতিতে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

 

কোভিডে আক্রান্ত বিশ্ব নেতাদের মধ্যে যোগ হলেন ম্যাক্রোঁও। এর আগে গত অক্টোবরে কোভিড পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার জের ধরে তিন দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি।

 

গত মার্চে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এ নিয়ে তিনি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণেও ছিলেন।

 

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ফ্রান্সে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সামাল দেয়ার জন্য জারি করা জাতীয় লকডাউনের কিছু নিয়মকানুন শিথিল করা হয়েছিল। তবে দেশটিতে এখনো সংক্রমণের সংখ্যা অনেক বেশি এবং রাত ৮টা থেকে ভোর ৬ পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

 

বন্ধ করা হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, থিয়েটার এবং সিনেমা।

 

বুধবার ফ্রান্সজুড়ে ১৭ হাজার ৭০০ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

 

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*