প্রাণের ৭১

কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুস্তাক ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ডিজিটাল‌ নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুস্তাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানসহ আটজনকে। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার জানিয়েছেন, মিনহাজ মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা তারা পাননি। বাকি সাতজন বিদেশে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। এই মামলার অপর সাত আসামি হলেন ‘নেত্র নিউজ’-এর তাসনীম খলিল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।

গত বছরের মে মাসে রমনা থানায় ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে র‌্যাব তিনটি মামলা করে। তাদের বিরুদ্ধে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া তারা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধ করেছেন।

গত বছরের ৫ মে র‌্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, মোস্তাক আহমেদ, দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। গ্রেফতার হওয়া কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, মুস্তাক আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আই অ্যাম বাংলাদেশি (ইংরেজি হরফে লেখা) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনা, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির’ অভিযোগ আনা হয়।

গত সেপ্টেম্বরে এই মামলায় গ্রেফতার মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুস্তাকের জামিন হয়নি। তারা কারাগারেই আছেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*