প্রাণের ৭১

কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম আটক

রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের এক ইমামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ মো. মাহফুজুর রহমান (২১) নামে ওই ইমামকে আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সে।

অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের (আবুল বাড়ির) মো. সাইদুল ইসলাম ছেলে। সে দেবিদ্বার থানাধীন ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছে।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা অভিযুক্ত মো. মাহফুজুর রহমানকে বাদী করে দেবিদ্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ওই কিশোরীর ভ্যানচালক বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে আমাদের পুরনো বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো। পথে প্রায় সময়ই ওই ইমাম তাকে উক্ত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন সকালে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে ডেকে মসজিদের পূর্ব পাশে থাকার রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

ভিকটিমের মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে আর লেখাপড়া করে না। সে বাড়িতেই থাকে এবং গৃহস্থালীর কাজ করেন। পরে ওই কিশোরী বাড়ি যেয়ে তার মায়ের কাছে গোপনাঙ্গে রক্তপাতের কথা বললে তিনি দ্রুত মেয়ের বাবাকে জানান। এরপর ওই কিশোরীর বাবা-মা তাকে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মেয়েটিকে আশংকাজনক অবস্থায় নিয়ে এলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। মেয়েটির যৌনাঙ্গে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।

ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, ‘ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অভিযুক্ত ইমামের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে অভিযুক্ত ইমামকে আটক করেন।’

 

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ওই কিশোরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ওই ইমামকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*