প্রাণের ৭১

কুড়িগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিংকী খাতুনকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী রাসেল বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাসেল বাবু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই দণ্ডাদেশ প্রদান করে আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের হাতেম আলীর মেয়ে পিংকী খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী বাঁশজানি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সোলায়মান আলীর ২০১১ সালে বিবাহ হয়। বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় শালিসের মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

এর কিছুদিন পর অভিভাবকদের না জানিয়ে পিংকী খাতুন পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার নাখারগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সাইফুর রহমানের ছেলে রাসেল বাবু’র সাথে পালিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি করে। দেড় বছর সংসার করার পর যৌতুকের জন্য রাসেল বাবু স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালালে ৬ মাসের গর্ভবতী পিংকী খাতুন বাবার বাড়ীতে ফিরে আসে। সেখানে অবস্থানকালীন পিংকী খাতুনকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দেয় স্বামী রাসেল। এতে পিংকী খাতুন রাজি না হওয়ায় বাড়ীর লোকজনের অনুপস্থিতে গত ২০১১ সালের ২৭ মে দুপুরে স্ত্রীর মুখে গামছা বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর লাশ ঘরের ভিতর ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় রাসেল বাবু। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামির অনুপস্থিতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম ও সিদ্দিকুর রহমান।

কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, আসামী রাসেল বাবু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিল। তার অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ ১০ বছরের শুনানি শেষে এই রায় প্রদান করেছে আদালত।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*