প্রাণের ৭১

ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিশ্বজয় !

স্বপ্নের ট্রফির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা।

 

উত্তেজনাকর পারদ যখন চরমে তখন বৃষ্টির হানা। সেটি আবার থেমেও গেলো। সমীকরণ দাঁড়ায় ৩০ বলে ৭ রান। ২৩ বল বাকি থাকতেই সেই রান তুলে নেন রাকিবুল হাসান। স্বপ্নের শিরোপা জয় করে বাংলাদেশের যুবারা। যেকোনো পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ জয় এটি। এর মাধ্যমে এদেশের ক্রিকেট পদার্পন করলো এক নতুন যুগে। স্বর্ণাক্ষরে লেখা হলো নতুন ইতিহাস।

 

 

 

পচেফস্ট্রুমের ফাইনাল ম্যাচ কখনো বাংলাদেশের দিকে হেলছিল তো কখনও ভারতের দিকে। ৭ম ব্যাটসম্যান হিসেবে পারভেজ হোসাইন ইমন ফিরে যাওয়ার পর যেন আতঙ্ক পেয়ে বসে বাংলাদেশের যুবাদের। তবে ঠিকই ক্রিজে দাঁড়িয়ে পড়েন অধিনায়ক আকবর আলী ও রাকিবুল হাসান। গুনে গুনে ৯ ওভার পার করলেন তারা, যোগ করলেন ২০ রান। তারপরই বৃষ্টির হানা। উত্তেজনার পারদ কিছুটা নামিয়ে দিয়ে ম্যাচ তখনই বাংলাদেশের দিকেই হেলেছে।

 

খেলা আর মাঠে না গড়ালে বৃষ্টি আইনে ১৮ রানে জয় পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু মাঠে খেলেই বিজয় তুলে নেয়ার আঁশ যে মিটতো না। এই যুবারা যে আফসোসে বিশ্বাসী না!

 

এর আগে, উদ্বোধনী জুটিতে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৮.৫ ওভারে ৫০ রানের জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু রবি বিষ্ণুর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২৫ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান করে ফেরেন তরুণ এ ওপেনার।

 

উড়ন্ত সূচনার পরও সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দলীয় ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। ভারতীয় লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণুর বল খেলতেই পারছিলেন না বাংলাদেশি যুবারা। নিজের করা প্রথম ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে বাংলাদেশের ৩ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান ১৯ বছর বয়সী ভারতীয় এ লেগ স্পিনার।

 

১৩-তম ওভারে রবি বিষ্ণুর বলে আউট হয়ে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। ওই ওভারেই পায়ে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তৃতীয় উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক আকবর আলী। ইমন আউট হওয়ার পর শূন্য রানের ব্যবধানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়ও।

 

দলীয় ৬৫ রানে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন শাহাদাত হোসেন। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আকবর আলীকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি শামিম হোসেনও। তিনি ২০ রানের জুটি গড়ে আউট হন। এরপর আকবর আলীর সঙ্গে ১৭ রানের জুটি গড়তেই আউট হয়ে যান বোলিংয়ে মাঠ কাঁপানো অভিষেক দাস।

 

২৩ ওভারে দলীয় ১০২ রানে ৭ উইকেট পতনের পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ফের ব্যাটিংয়ে নামেন। সপ্তম উইকেটে ইমনকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন আকবর আলী। তাদের এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*