প্রাণের ৭১

খাগড়াছড়ির গুইমারাতে বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুরের প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।


মঙ্গলবার(২৩অক্টোবর) বিকেলে গুইমারার রামসু বাজার এলাকা থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সহস্রাধিক নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি গুইমারা উপজেলা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি গুইমারা রিজিয়নের সংরিক্ষত এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশের ব্যরিকেডে মধ্যে গুইমারা ব্রীজ এলাকায় প্রতিবাদ সভা করে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গুইমারা দেওয়ান পাড়া মিশন বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু জ্যোতিসারা ভান্তে বলেছেন আগামি ২৪ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে প্রবারণা পূর্ণিমা বর্জন সহ লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি।
এঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সালাহ উদ্দিন, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া ও গুইমারা অফিসার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের করে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আন্দোলণকারীদের আশ্বস্থ করেন।

২২অক্টোবর গভীর রাতে দুস্কৃতিকারী কে বা কারা বিহারের ঘর ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে বিভিন্ন অংশ বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এসময় বৌদ্ধ বিহারে কোন ভিক্ষু বা লোকজন ছিল না।

বৌদ্ধ বিহার ও মুর্তি ভাংচুরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে বলে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন।
সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বুদ্ধ মুর্তিটি পুন স্থাপনের ঘোষনা দেন।

এদিকে ঘটনার পরপরই একটি স্বার্থেন্নেশি মহল নিরাপত্তা বাহিনীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে অপপ্রচারের তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রাইসুল ইসলাম। তিনি বলেছেন আর একদিন পর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। এ উৎসবটিকে বিঘ্নিত করতেই একটি মহল এ নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। সেনাবাহিনী যেখানে পাহাড়ে শান্তি- সম্প্রীতি রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেখান সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। এ ঘটনার সাথে জড়িত মকল দোষীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*