প্রাণের ৭১

গাজীপুরে ঈদের নামায এবং বাবার কবর জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে যুবক খুন

গাজীপুর মহানগরের ২৪নং ওয়ার্ড এর দক্ষিন চতর এলাকায় প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে রাব্বী বাবু (২৬) নামে এক যুবককে খুন করেছে। নিহত রাব্বী বাবু দক্ষিণ চতরের ছায়াতরু এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে।

 

সোমবার সকাল আনুমানিক ১০ঘটিকার সময় দক্ষিণ চতর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানায়, রাব্বী বাবু পেশায় একজন গাড়ি চালক। সকালে দক্ষিণ চতর এলাকার স্বপ্ননীড় আবাসিক প্রকল্পের কাছে একটি ফাঁকা বাড়ির উঠানে প্রতিপক্ষের লোকজন রাব্বীকে মারধর ও কুপিয়ে ফেলে যায়। খবর পেয়ে স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

নিহতের ছোট বোন সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গতকাল রাতে বাসায় এসে  ঈদের দাওয়াত দিয়ে যায় পূর্বপরিচিত চাকমা বাবু নামে একজন। সকালে ঈদের নামায আদায় এবং তার বাবা কবর জিয়ারত শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার পথে আবারো ফোনে চাকমা বাবু তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরই বাসায় খবর আসে তার ভাইকে কুপিয়ে যখম করেছে সন্ত্রাসীরা। মাকে  নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন ভাই রাব্বিকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে হামলায় অংশ নেয়া কয়েকজনের নাম বলেছেন রাব্বি এমনটাই জানিয়েছেন নিহতের ছোটবোন।

 

অন্যদিকে যেই বাড়ির উঠানে এ হামলার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে সে বাড়িতে বসবাসকারী সুরুজ মিয়া সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, কাজের জন্যে ঘরে তালা দিয়ে পাশেই তার ছেলের বাড়িতে অবস্থান করা অবস্থায় চিৎকারের শব্দ শুনেন।  বেড়িয়ে এসে দেখতে পান ৭/৮জন যুবক দৌড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে তার বাড়ি থেকে। তিনি দ্রুত বাড়িতে এসে তার গোয়াল ঘরের সামনে হামলায় আহত যুবককে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে আশে পাশের লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসেন।

 

গাজীপুর মেট্টাপলিটন পুলিশের সদর থানার এসআই রিয়াদ জানান, খবর পেয়ে বিকেলে ওই হাসপাতাল মর্গে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। নিহতের মাথা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

 

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আলমগীর হোসেন ভূইয়া জানান, কি কারণে এ হত্যাকান্ডের  ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*