প্রাণের ৭১

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস চেয়ে হাইকোর্টে খালেদার আপিল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

তার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন।

আবেদনে মামলাটিতে তার জামিন প্রার্থনা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের এখতিয়ার সম্পন্ন যে কোনো বেঞ্চে আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বিচারিক আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ওই ট্রাস্টের অনুকূলে কেনা রাজধানীর কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পুরানো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডস্থ পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত আদালতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের কপি হাতে পেয়ে খালেদার পক্ষে আপিল করা হলো।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানের নামে তার তৎকালীন সেনানিবাসের বাড়ির ঠিকানায় নামসর্বস্ব জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান ওই ট্রাস্টের ট্রাস্টি হয়েও চ্যারিটেবল কাজে কোনো অর্থ ব্যয় করেননি। বরং নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিগত সময়ে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করেন।

অর্থ পরিচালনায় দায়িত্বরত থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ব্যয় করেন তার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। হারিছের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) জিয়াউল ইসলাম এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) মনিরুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।

অভিযোগপত্র দাখিলের দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এরপর বিচার শুরু হয়।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*