প্রাণের ৭১

জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে দাবি আদায়ের ইতিহাস আমাদের রয়েছে: ড. কামাল

জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করা হবে উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যদি বৃহত্তর ঐক্য গঠন করা যায় তাহলে কোনো স্বৈরাচারী সরকারই জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।

তিনি বলেন, ‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে দাবি আদায়ের ইতিহাস আমাদের রয়েছে। আমরা ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন করে অসম্ভবকে সম্ভব করেছি। এবারও আমরা সক্ষম হবো।’

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনসহ তিন দফ দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ড. কামাল দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশ সবার, কোনো ব্যক্তি, দল বা পরিবারের নয়। ‘অতীতের মতো আমরা অবশ্যই আমাদের আন্দোলনকে সফল করতে পারবো এবং দেশে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।’

ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক বলেন, ‘আমি সবাইকে জনগণের ঐক্য গঠনের আহ্বান জানাই। যদি আমরা দেশের সকল নারী ও পুরুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি তাহলে কোনো স্বৈরাচার শাসকই আমাদের দেশের মালিকানা এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।’

দেশের এই সিনিয়র আইনজীবী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তির দাবি জানিয়েছিলাম এবং নির্বাচনের আগে কাউকে গ্রেপ্তার না করতে আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তার বদলে হাজার হাজার গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে।’

গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, যদি নির্বাচন স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে জনগণ দেশের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হবে। ‘এই উপলব্ধি থেকেই আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’

পত্রপত্রিকার খবরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ দেশের মালিকানা হারানোয় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুটপাট হচ্ছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে।

‘ঐক্য গঠন করে আমরা অবশ্যই পরিবর্তন আনবো। পরিবর্তন আনতে আমরা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। বৈধ উপায়ে পরিবর্তন আনতে হলে (ক্ষমতার) অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*