প্রাণের ৭১

জনগণের সমর্থনেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে: জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় শেখ হাসিনা

মোহাম্মদ হাসানঃ আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ টিকে আছে শুধু জনগণের সমর্থনেই ।

আজ ৩নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেদনা বিধুর জেল হত্যা দিবসে স্মরণ সভায় ভার্চুয়ালি যোগদিয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উক্ত মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “সন্ত্রাসী, খুনিচক্র ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বসে নেই। এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের ঘটনা ঘটিয়েও তারা ক্ষমতা ভোগ করতে পারেনি জনগণের কারণে। এটাই তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ। তারা ক্ষমতায় থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি ও মানুষ হত্যা করেছে, দেশের কল্যাণ করতে পারেনি। এসব অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে যে দলের জন্ম, তাদের দেশের জনগণ কেন ভোট দেবে।

তিনি বলেন, “শুধু এবার নয়, জনগণের ভোট ও সমর্থন নিয়ে আমার নেতৃত্বে এ নিয়ে চারবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করে বলেই জনগণ ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে এবং আমাদের দল সরকারে আছে। শুধু তাই নয়, ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্ট, ২০০১ পরবর্তী অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ডের পরও আওয়ামী লীগ টিকে আছে শুধু জনগণের সমর্থনেই।”

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “আওয়ামী লীগের শেকড় তৃণমূলের অনেক গভীরে প্রোথিত। সংগঠনের ক্ষতি কেউ করতে পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগ টিকে আছে তৃণমূলের নেতাকর্মী অর্থাৎ তার শেকড়ের শক্তি অনেক বেশি। এখন সেটা যদি কারও চক্ষুশূল বা মনোব্যথা হয়, আমাদের কিছু বলার নেই। জনগণের সমর্থনেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে তাদের কল্যাণে ও দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। যদি শহীদের তালিকা দেখেন, দেশের জন্য একটি দল (আওয়ামী লীগের) হিসেবে এত জীবন অন্য কেউ দেয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “যে সব সন্ত্রাসী, খুনিচক্র ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তারা বসে নেই। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের ঘটনা ঘটিয়েও তারা ক্ষমতাকে ভোগ করতে পারেনি জনগণের কারণে, এটাই তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল (বিএনপি, জাতীয় পার্টি) কখনওই দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে পারে না। ক্ষমতাকে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়ার কাজে ব্যবহার করে, জনগণ কিছু পায় না। আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যেটি দেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে থেকে দেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নতি হয়, দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারে- আমরা তা প্রমাণ করেছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল নিল খুনি মোশতাক। মোশতাক যে চক্রান্ত করেছিল, তার সঙ্গে যারা ছিল সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল। সে রাষ্ট্রপতি হয়েই সঙ্গে সঙ্গে জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান করল। তাই খুব স্বাভাবিকভাবে এটা প্রতীয়মান হয় যে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে মোশতাকের একেবারে ডান হাতই ছিল জিয়াউর রহমান। তারা শুধু ষড়যন্ত্রের সঙ্গেই ছিল না, খুনিদের দায়মুক্তি দেয়া এবং দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিন্নপথে নিয়ে যাওয়া শুরু করল।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আজকে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। দুঃখের বিষয় হলো-করোনাভাইরাসের কারণে আমরা এই সভা খুব লম্বা করতে পারছি না। আমরা আশা করি, একদিন এই করোনাভাইরাস চলে যাবে। আবার আমরা একসঙ্গে মিলিত হবো। সব অনুষ্ঠানই আমরা স্বাভাবিক নিয়মে করতে পারব।”

স্মরণ সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণভবন প্রান্ত থেকে সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*