প্রাণের ৭১

ডাক্তারদের অসত্য রিপোর্ট দিতে বাধ্য করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল

কারাহেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঠিক প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেননি বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএসএমএমইউর ডাক্তারদেরকে এদেশের মানুষ শ্রদ্ধা করে, তাদের রিপোর্টের উপর ভরসা করে। কিন্তু তারা আজকে সত্যি রিপোর্ট দিতে পারলেন না কারণ তাদেরকে এ সরকার বাধ্য করেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত পানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার যে ব্লাড পরীক্ষা হয়েছে সেখানে তার ফাস্টিং সুগার হচ্ছে ১৪.৫। চিন্তা করা যায় না। ১৪.৫ যদি তার নিয়মিত সুগার হয় তাহলে সেটা তার হার্টে এফেক্ট করতে পারে, কিডনিতে এফেক্ট করতে পারে বা ফুসফুসে এফেক্ট করতে পারে।

বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের যে আজকে আমাদের দেশে বিচার বিভাগ, উচ্চ আদালত তারা সঠিক বিচার করতে পারে না। কারণ, একটা একনায়কতন্ত্রে দেশ চলছে। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র চলছে।

পানির ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পানির দাম পাঁচ বার বাড়ল। কিন্তু সে পানি মুখে দেয়া যায় না, খাওয়া যায় না। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৮ বার। কারণ পাওয়ার প্লান্টের নামে তারা যে হরিলুট করেছে তার ভর্তুকি দেয়ার জন্য।

এই মূল্যবৃদ্ধি বাতিল না করলে জনগণের উত্তাল তরঙ্গে সরকার ভেসে যাবে হুশিয়ার করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ মানুষের পকেট কেটে তারা বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। যদি কোনো পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ নাও করে তবু তাদের ভর্তুকি দিতে হবে, এই হচ্ছে এই লুটেরা সরকারের চুক্তি। গতকাল জানলাম, প্রতি বছর ৫১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এই টাকা জনগণের, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট থেকে নেয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ নেতাকর্মী অংশ নেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*