প্রাণের ৭১

ঢাবির বকুলতলায় শুরু হয়েছে শরৎ উৎসব

নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে আজ সকালে রাজধানীতে শরৎ উৎসব শুরু হয়েছে। সত্যেন সেন শিল্পী গোণ্ঠী এই উৎসবের আয়োজন করে।
গান, নৃত্য, আলোচনা, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন পরিবেশনার মধ্যদিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। বিপুল সংখ্যক দর্শক শ্রোতা দিনের শুরুতে এই উৎসব উপভোগ করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ষড়ঋতুর বাংলাদেশে শরতের ঐতিহ্য নানামুখী । বর্ষার শেষে শরৎ বাঙালির জীবনকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করে। ফসল কাটা, জমিতে নতুন করে ফসল বোনা এবং কৃষক সমাজে কাজের উদ্দীপনায় শরৎ আমাদের নতুন করে বাঁচার সাহস যোগায়।
সভাপতির ভাষণে সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি কবি ড. হায়াৎ মামুদ বলেন, বাঙালি তাঁদের জীবনকে নতুন করে সাজাতে শুরু করে শরতে। আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিতে এই ঋতুর প্রভাব বড়ই সুখকর।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, শরতের এই উৎসবটি এখন রাজধানীর অন্যতম একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। আজকের ভোরটি অন্যান্য ভোরের মতো নয়। এই উৎসব নগরবাসিকে জানিয়ে দিচ্ছে আমাদের জীবনে আবার শরৎ এলো। এলো নতুনের সমারোহ।
অনুষ্ঠানে এ ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন সত্যেন সেন শিল্পী গোণ্ঠীর সহ-সভাপতি নিগার চোধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী।
সকাল সাড়ে সাতটায় শিল্পী মো: নুরুল হকের বাদ্যযন্ত্র ‘ সান্তর ’ পরিবেশনের মধ্যদিয়ে উৎসবের কার্যক্রমের সূচনা ঘটে। এরপর দলীয় ও একক নৃত্য, আলোচনা ও সংগীত পরিবেশন ও আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মহাদেব সাহা, শিল্পী লীনা তাপসি খান, শিল্পী অনীমা রায় সুমন মজুমদার ও বিমান চন্দ্র বিশ্বাস।
দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যজন , নৃত্যাক্ষ,স্পন্দন, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা )র শিল্পীবৃন্দ। আবৃত্তিতে অংশ নেন শিল্পী আহকামউল্লাহ, শিল্পী রফিকুল ইসলাম ও শিল্পী লায়লা তারান্নুম চৌধুরী। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সুর ও বিহার, সুরতীর্থ, বহ্নিশিখা, ঋষিজ ও সত্যেন সেন শিল্পী গোণ্ঠীর শিল্পীরা।

বাসস






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*