প্রাণের ৭১

থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে চলন্ত গাড়ীতে ধর্ষন চেস্টা করা যুবককে।

চলন্ত গাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিল এক যুবক। তবে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকা পড়ায় অন্যরা এ সময় দেখে ফেলেন এবং তরুণীকে উদ্ধার করেন। এ সময় ‘ধর্ষক’ মাহমুদুল হক রনিকে প্রাইভেটকার থেকে বের করে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। তবে এ সময় প্রাইভেটকার চালক পালিয়ে গেছে।

শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এ ঘটনা ঘটে। পরে মোবাইলে ধারণ করা ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে গণপিটুনির পর রনিকে পুলিশে সোপর্দ করেছে উত্তেজিত জনতা। এছাড়া তার ব্যবহৃত ঢাকা মেট্রো-গ ২৯৫৪১৪ নম্বর প্রাইভেটকারটি জব্দ করে শেরে বাংলা থানায় রাখা হয়েছে।

শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল জাগো নিউজকে বলেন, মাহমুদুল হক রনির বয়স ৩২। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি ঢাকায় ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের মিতালী রোডের একটি বাড়িতে থাকেন। বর্তমানে ওসি (জি জি বিশ্বাস) স্যারের রুমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

শেরে বাংলা নগর থানা সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত রনি হক দুই ছেলের বাবা। তার একজন স্ত্রীও রয়েছে। সকাল থেকে পরিবারের কেউ থানায় আসেনি। পেশায় ব্যবসায়ী জানালেও কী ব্যবসায় করেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি।

ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় অনুযায়ী জানা যায়, কয়েকজন পথচারী গাড়িটির গতিরোধ করে তরুণী, রনি ও প্রাইভেটকারের চালককে বের করে আনেন। পরে ওই তরুণী জানান, তাকে রাস্তা থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এর পর জনতা ওই তরুণ ও গাড়িচালককে গণপিটুনি দেয়।

তবে দুপুর আড়াইটা (রোববার) পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেনি ওই তরুণী।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*