প্রাণের ৭১

দেরাদুনে নিদারুণ বাংলাদেশ।

টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পর মাঝপথে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ডেথ ওভারে তাদের বোলাররা ছন্নছাড়া। যাতে করে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলো আফগানিস্তান। তারপর শুরুতেই উইকেট হারানোর পর যেই না একটু দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা, তখনই রশিদ খানের আঘাত। শেষ দিকে শাপুর জাদরানের তোপ। তাতে আর পেরে ওঠেনি সাকিব আল হাসানরা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ তারা শুরু করল ৪৫ রানে হেরে।
আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান ৮ উইকেটে ১৬৭ রান করে। জবাবে ১৯ ওভারে ১২২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হয়েছেন রশিদ।
রশিদ খানকে নিয়ে ম্যাচের শুরুতেই সতীর্থদের সতর্ক থাকতে বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সতর্ক থাকলেও আফগান স্পিনারের পারফরম্যান্সে অসহায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
শুরুর ধাক্কাটা বেশি ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান তামিম রানের খাতা না খুলে বিদায় নেন প্রথম বলে। মুজিব উর রহমানের রাউন্ড দ্য উইকেটে বল বাংলাদিশ ওপেনারের পেছনের পায়ে লাগলে আম্পায়ার আউট দেন। তারপর চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ নবীর বলে মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসে ধরা পড়েন সাকিব (১৫)। প্রথমেই দুই আস্থাবান ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলেন।
তারপরও ধাক্কাটা সামলে নেন নতুন দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। কিন্তু ৪৩ রানের বেশি করতে পারেননি তারা। নবীর বলে এলবিডাব্লিউ হন লিটন। ২০ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩০ রান করেন এই ওপেনার। আগের বলেই ১৬ রানে জীবন পান মুশফিক।
তারপরই রশিদের জাদু। ১১তম ওভারে বল হাতে নেন ১৯ বছর বয়সী তারকা। প্রথম বলেই মুশফিককে (১৭) বোল্ড করেন। পরের বলে সাব্বির রহমানকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। মোসাদ্দেক হোসেন দৌড়ে এক রান নিয়ে হ্যাটট্রিক করতে দেননি তাকে।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তারপরও চেষ্টা চালিয়ে গেছেন মোসাদ্দেক। তবে ২৯ রান করতেই এ জুটি ভাঙেন রশিদ। ১৪ রানে উসমান ঘানির ক্যাচ বানান মোসাদ্দেককে।
১৮তম ওভারে শাপুর জাদরান একে একে তিন উইকেট তুলে নেন। ওই ওভারে আবুল হাসান (৫), মাহমুদউল্লাহ (২৯) ও রুবেল হোসেন বিদায় নেন শূন্য রানে। ১৯তম ওভারের শেষ বলে আবু জায়েদ রাহীকে (১) রশিদের ক্যাচ বানিয়ে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন করিম জানাত।
আফগানিস্তানের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন রশিদ ও শাপুর। ৩ ওভারে ১৩ রান দেন রশিদ, আর ৪ ওভারে ৪০ রান দেন শাপুর।



« (পূর্বের সংবাদ)



মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*