প্রাণের ৭১

ধর্ষণের প্রতিবাদে এইচএসসি পরীক্ষার আত্মহত্যা

আজ সোমবার এইসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিলো কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী শান্তার। কিন্তু প্রতিবেশী মাইনুল হোসেনের লালসার শিকার হয়ে পরীক্ষায় একদিন আগে রোববার প্রাণ হারাতে হলো এ শিক্ষার্থীর।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকচুরী গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ মিয়ার মেয়ে কলেজ পড়ুয়া শান্তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো প্রতিবেশী লাল মিয়ার মাস্টার্স পড়ুয়া ছেলে মাইনুল হোসেনের।

গত ২৫ মার্চ প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে এক পর্যায়ে শান্তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয় বলে ফোন করে জানায় মাইনুল। এইকথা শুনে ২৬ মার্চ সকাল ৯টার দিকে নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শান্তা। পরে থাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন।

পরে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। কিন্তু; ঢাকা মেডিকেল কলেজে আইসিইউ বেড না পাওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয় জাপান-বাংলাদেশ ফেন্ডশীপ হাসপাতালে। সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ভর্তি করা হয় সেন্টাল হসপিটালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত রোববার দুপুরে মৃত্যু হয় শান্তা আক্তারের।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় শান্তার বাবা ফিরোজ মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন নিহত শান্তার ভাই মিজান মিয়া।

এদিকে, ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌছার পর থেকে ঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেমিক মাইনুল ও তার পরিবারের সদস্যরা।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*