প্রাণের ৭১

পদ্মার ভাঙ্গনঃ পূর্বাভাস থাকলেও করা হয়নি কিছুই!

বাংলাদেশে শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কাছে পদ্মা নদীর ভাঙন সম্পর্কে প্রায় চার মাস আগেই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিলো, দাবি করেছে সরকারেরই একটি গবেষণা সংস্থা।
পদ্মা নদীর ভাঙনে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার পাঁচ হাজারের মতো বাড়ি ঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু আগেভাগে পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও সে ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস বলছে, তাদের বাৎসরিক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস ছিল যে এবার বড় ধরণের ভাঙন হবে।
ভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের একজন নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জের বাসিন্দা মারিয়া আক্তার যূথী। মা, দুই বোন ও এক ভাইকে নিয়ে আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
“যে বাড়িতে আমি ছোট থেকে বড় হইছি, আমাদের সেই বাড়ির পেছনে সুন্দর একটা বাঁশঝাড় ছিল, ফুলের বাগান ছিল, একটা উঠান ছিল। তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে চোখের সামনে সবকিছু পদ্মা নদী হয়ে গেলো” – মৃত বাবার রেখে যাওয়া একমাত্র ভিটে বাড়িটুকু কিভাবে চোখের সামনে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে তার বর্ণনা করতে গিয়ে বলছিলেন তিনি।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*