প্রাণের ৭১

পা-খোলা বেলজিয়ান তরুণীদের শিরশ্ছেদ চাইলেন মরক্কোর কট্টরপন্থী নেতা

বেলজিয়ামের তরুণীদের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল টি-শার্ট ও হাফপ্যান্ট পরে কাজ করছিলেন মরক্কোয়। কিন্তু ছোট ছোট কাপড়টা মেনে নিতে পারেনি মরোক্কোর কট্টরপন্থীরা।

 

তাই তাদের শিরশ্ছেদ করার দাবি জানান তারা।

মরোক্কোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের শিরশ্ছেদের দাবি জানান। পরে প্রো-ইসলামিস্ট জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির একজন সিনেটর দেশটির পার্লামেন্টে এ দাবি তুলে ধরেন। দেশটির আইনপ্রণেতারা ওই বিষয়টি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে আহ্বান জানান।

 

মরক্কোর টারুডান্ট নামক প্রদেশের একটি অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু বর্তমানে দেশটির সবচেয়ে বেশি আলোচিত ইস্যু। ওই অঞ্চলটিতে তরুণীরা একটি রাস্তা নির্মাণে কাজ করছিলেন বেলজিয়ামের একটি সংঘটনের পক্ষে। তারা ওই জায়গায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সবাই শিক্ষার্থী।

 

 

গ্রীষ্মকালীন গ্রুপে তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, টারুডান্ট অঞ্চলের একটি গ্রামে রোদের মধ্যে টি-শার্ট ও হাফপ্যান্ট পরে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে কাজ করার ছবি তুলি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাদের পরনের পোশাক দেশটির জনমনে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

ফেসবুকে মরক্কোর পার্লামেন্টে সিনেটর আলী ইআই আনসারি এই বিষয়টি সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেন, ইউরোপে কি কখনো গোসলের কাপড় পরে নির্মাণ কাজ করা হয়? চাকরির সুরক্ষার বিষয়টি ইউরোপে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা প্রত্যেকেই জানি। পর্যটকরা হেলমেট, উপযুক্ত পোশাক এবং গ্লাভস না পরে নির্মাণের জায়গাগুলোতে যেতে পারেন না। তিনি আরো লিখেন, গ্রীষ্মকালীন সময়ে এখানে কাপড় পরার ধরন পরিবর্তন হয়নি।

 

আলী ইআই আনসারির পোস্টে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকা মন্তব্যের ঘরে লিখেন, আমি অবশ্যই অনেক ভালো বলেছেন। তাদের শিরশ্ছেদ করা উচিত। এর ফলে আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে কেউ কোনো ধরানের মন্তব্য করতে পারবেন না।

 

সন্ত্রাসবাদকে উসকে দেওয়া জন্য ওই শিক্ষিকাকে আটক করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই পোস্টি সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা আবার বেলজিয়াম ফিরে এসেছেন।

 

সূত্র: এনসামড।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*