প্রাণের ৭১

প্রযুক্তির ১০ শহর

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ চোখের পলকে বিশ্বকে পাল্টে দিচ্ছে ক্রমাগত। আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে আরও বেশি সহজ করে তুলছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ পাল্লা দিয়ে প্রযুক্তির আইকন হওয়ার প্রতিযোগীতাই নেমেছে যেন। কেউ কারও থেকে পিছিয়ে থাকতে ইচ্ছুক নয়। তবে বিশ্বের এমন কিছু দেশ আইকন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছে অনেকখানি। এমন শীর্ষ ১০ টি দেশ নিয়ে আমাদের আজকের সেরা ১০ এর আয়োজন:

সিলিকন ভ্যালি
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্থান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকো’তে অবস্থিত সিলিকন ভ্যালি বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি শহর হিসেবে খ্যাত। এখানে রয়েছে সহস্রাধিক স্মার্টআপ প্রতিষ্ঠান, রয়েছে ফেসবুক, অ্যাপল, গুগল, সিসকো সিস্টেমস, অ্যাডোবি, ইবে, ইন্টেল, এইচপিসহ নামকরা সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়। টেকনোলজিতে পেশাজীবীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই শহরটি।

নিউইয়র্ক
প্রযুক্তি বিশ্বে সেরা শহরের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে নিউইয়র্কের নাম। এই প্রযুক্তি শহরের ২৫ শতাংশ উদ্যোক্তাই নারী। এই শহরটিতে রয়েছে উচ্চগতির ওয়াইফাই এবং ডাউনলোড স্পিড। যুক্তরাষ্ট্র আইটি খাত থেকে যে পরিমাণ অর্থ আয় করে তার একটি বড় অংশ আসে এই শহর থেকে।

টরেন্টো
কানাডার প্রযুক্তি ব্যবসায়ের ৪০ শতাংশ হয় এই শহরে। সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষ প্রতিষ্ঠানেরও আইকন এটি। ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, গুগলসহ বেশকিছু নামিদামি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে এই শহরে।

সিয়াটল
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির এই শহরটির প্রযুক্তি বিশ্বে অনেক এগিয়ে। অ্যামাজন, বিয়ইংসহ অসংখ্য প্রযুক্তি কোম্পানি রয়েছে এই শহরটিতে। সিয়াটেলকে বলা হয় মাইক্রোসফটের ঘরের শহর।

বোস্টন
প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাচীন শহরটি। যুক্তরাষ্ট্রের পোক্ত অর্থনীতির শহর হিসেবে ৬ নম্বর অবস্থান এই শহরটির। শহরটি শিক্ষার জন্য পরিচিত হলেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও তৈরি হচ্ছে অপার সম্ভাবনা।

টোকিও
প্রযুক্তি বিশ্বে জাপানের রাজধানীর অবস্থান অনেক এগিয়ে। টেক গ্যাজেট, পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল ফোন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পণ্য ও দ্রুতগতির যানবাহন তৈরিতে এই শহরটির জুড়ি নেই। প্যানাসনিক, নিক্কন, সনিসহ অসংখ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এখানে।

অস্টিন
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী অস্টিনে প্রায় পাঁচশো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সুবিধার কথা হচ্ছে, এই শহরটিতে পৃথিবীর অন্য যেকোনো প্রযুক্তি শহরের চেয়ে বসবাসের খরচ কম।

ডেনভার
১৯৭০ সালের পর থেকেই এই শহরটিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার কর্মীরা বছরে গড়ে প্রায় ৯০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেন। আর এখানেও বসবাস খরচ কম।

হিউস্টন
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই শহরটিতে অবস্থিত। আছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জনশন’ও। এই দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শহরটিতে রয়েছে অসংখ্য প্রযুক্তি কোম্পানি। এই শহরটিতে একজন প্রযুক্তি কর্মী বছরে প্রায় ৯২ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেন।

বেঙ্গালুরু
ভারতের সিলিকন ভ্যালি হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরু দিন দিন প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি শহর। ভারতের মোট আইটি রপ্তানির ৩৩ শতাংশ তৈরি হয় বেঙ্গালুরু থেকে। এখানে অফিস খুলেছে মাইক্রোসফট, গুগলসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*