প্রাণের ৭১

ফেনীতে স্কুলের নৈশ প্রহরীকে হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

 

ফেনীতে স্কুলের নৈশ প্রহরীকে হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ফেনী প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2021-01-17 16:20:03 BdST

দণ্ডিত সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেল

ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীকে হত্যায় এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।

রোববার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও কা হয়েছে।

 

দণ্ডিত সোহেল হাওলাদার ওরফে ঘোড়া সোহেল (বর্তমান বয়স ২২) বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ এলাকার চাঁনমিয়া হাওলাদারের ছেলে।

 

তিনি ফেনী শহরের গাজিক্রস রোড এলাকায় হক ম্যানশনে ভাড়া  থাকতেন এবং শহরের একটি শিশুপার্কে ঘোড়ার গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করতেন।

 

এই হত্যা মামলার অপর তিন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মামলা শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) হাফেজ আহমেদ জানান, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন হাফেজ বাড়ির মো. সোলাইমানের ছেলে মো. শফিউল্যাহ (৬০) ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ছিলেন। তিনি শহরের গাজিক্রস রোডে ভাড়াবাড়ি হক ম্যানশনে থাকতেন। তার প্রতিবেশী ছিলেন সোহেল হাওলাদার।

 

ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী নিহত মো. শফিউল্যাহ

 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ৩০ মে রাতে হক ম্যানশন থেকে শফিউল্যাহর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন দেড় ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে আসামিরা।

এই ঘটনায় শফিউল্যাহর ছেলে আবদুল মোতালেব বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে পরদিন ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন বলে পিপি জানান।

 

“এই ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়। চুরি করার জন্য শফিউল্যাহকে হত্যা করেছেন বলে আদালতে ফেওজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তাদের তিনজন।”

 

পিপি আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান চৌধুরী ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল সোহেল হাওলাদারকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। ঘটনায় জড়িত অপর তিন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আরেকটি অভিযোগপত্রে দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

 

পিপি হাফেজ আহমেদ জানান, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ফেনী জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে সোহেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এই মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

 

মামলায় আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শরফুদ্দিন মাহমুদ মানিক।

 

শিশু আদালতের মামলাটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে বলে পিপি হাফেজ আহমেদ জানান।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*