প্রাণের ৭১

ফেনী ১নং আসনের শিরীন আক্তারে’র মনোনয়ন ‘ভোট ও জোট’ উভয় দিকে লাভবান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি।

২০১৫-১৬ ইং সালে ১৪দলে জাসদের অন্তভূক্তি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড সহ তাঁদের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার উদ্ভব হয়েছিল। আলোচনার জম্ম দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম সহ বর্ষিয়ান আরো কতিপয় সম্মানীত নেতৃবৃন্দ। জোট রক্ষার স্বার্থে উক্ত আলোচনা-সমালোচনা বন্ধ করতে শেষ পয্যন্ত জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রী “শেখ হাসিনা’ হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।
সে দিন মনে হয়েছিল এখানে’ই বোধহয় উদ্ভুত ক্ষোভ-বিক্ষোভের সমাধান বা স্তিমিত হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে সৃষ্ট ক্ষোভ-বিক্ষোভের কোন প্রকার প্রভাব পড়বে না। আগেই জানতাম–রাজনীতি’র চলমান গতিধারা সাময়িক স্তিমিত হয়, নিঃশেষ হয়না।
সত্যাসত্য প্রমান হ’ল ফেনী ১নং আসন হ’তে জাসদের সাধারন সম্পাদিকা শিরীন আক্তারকে প্রত্যাহার করে, আওয়ামীলীগের প্রার্থি দেয়ার দাবী উত্থাপনের মধ্য দিয়ে। অদ্য ২৭/১১/০০১৮ ইং রোজ মঙ্গলবার ফুলগাজী উপজেলাব্যাপী আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধের চিত্র স্বচক্ষে দেখে। যদিও আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মির অংশগ্রহন মোটেও ছিলনা, জনগনের অংশগ্রহনতো নহে’ই। নিঃসন্দেহে জাসদ নেত্রী ১৪ দলীয় জোটের নৌকার প্রার্থি শিরীন আক্তারের ভোটের উপর আজকের প্রতিপালিত আচমকা বিক্ষোভ, কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এবং কি প্রার্থির মনোবলেও যে কিছুটা চিড় ধরবেনা, হলফ করে বলা যায়না।
আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, প্রতিটি নেতাকর্মি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি নাগরিক খুব ভালভাবে’ই জানে এবং কি দলগতভাবে জাসদ এবং তাঁদের প্রেরিত প্রার্থিও জানে দেশব্যাপী জাসদের সাংগঠনিক কাঠামো বলবৎ থাকলেও জনভিত্তি নেই। তারপরও জোটনেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূদুরপ্রসারী চিন্তাচেতনার আলোকে, যে কোনমূল্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি’র ঐক্য বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
বঙ্গবন্ধুকন্যা এই ১৪ দলীয় জোটের উপর ভিত্তি করে স্বাধীনতা বিরুধী অশুভশক্তির সঙ্গে দৃডতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যান্ন দল ও জোট থাকলেও তাঁরা কৌশলগত কারনেই জোটে অন্তভুক্ত হয়েছে। এই কারনেই আওয়ামীলীগ নিয়ন্ত্রিত জোট দুইভাগে বিভক্ত–প্রথম অংশ আদর্শিক ১৪ দলীয় জোট, দ্বিতীয় অংশ কৌশলগত মহাজোট। প্রথম অংশ টি আন্দোলন, সংগ্রাম, নির্বাচন, সরকার গঠন, দ্বিতীয় অংশটি শুধুমাত্র নির্বাচন এবং সরকার গঠনের ক্ষেত্রে কায্যকর।
ইহা একান্ত সত্য যে, ১৪ দলীয় জোটের শক্তিতে কিঞ্চিত হেরফের লক্ষ করা গেলেও মহাজোটের দলগুলীর মধ্যে একটিও আওয়ামীলীগের সঙ্গে থাকবেনা।-যেহেতু দলগুলীর সাথে আওয়ামীলীগের আদর্শিক কোন মিল আদৌ নেই।
লক্ষ করলে দেখা যায়–১৯৯৬ ইং সালের পুর্বে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে যে ১৫ দলীয় জোট গড়ে উঠেছিল। সময়ের পরিক্ষায় উত্তিন্ন উক্ত জোট অদ্যাবদি একমঞ্চে, একতাবদ্ধ থেকে আন্দোলন, সংগ্রাম সরকার গঠন ও সরকার পরিচালনায় একে অপরের পরিপূরক হয়ে বাংলাদেশের জনগনের আশা- আক্ষাংকা পূরণে নিয়ন্তর চেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছে।
১৫ দলীয় জোট গড়ে উঠার পর চার বার সাধারন নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষমতার রদবদল হয়েছে।তম্মধ্যে প্রথমবার আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে ‘জাসদ রব’ সহ ১৫ দলীয় জোট, দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার জাসদ রববিহীন ১৪ দলীয় জোট বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চে অবির্ভুত হয়েছে। মাঝখানে ২০০১ইং সালে জাতীয় ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের কারনে আওয়ামীশূর্ণ মাঠে অশুভশক্তির প্রেতাত্বা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৪ দলীয় জোট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নেয়।তাঁরা ক্ষমতা গ্রহনের আগে ও পরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি নিধনের যে তান্ডব চালিয়েছিল বাংলাদেশ সহ বিশ্ববাসী তা স্বচক্ষে অবলোকন করেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল সন্দেহ নেই। তেমনিভাবে বিএনপিও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধশক্তি সহ বৃহৎ একটি জনগোষ্টির প্রতিনিধিত্ব করে–ইহাও অস্বিকারের কোন উপায় নেই। বিএনপির নেতৃত্বে বৃহৎ একটি জোট রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থাকাবস্থায়, আওয়ামীলীগের আদর্শিক জোটের বিরুদ্ধে দলের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন আন্দোলন কতটুকু রাজনৈতিক প্রজ্ঞা প্রসূত নিশ্চয়ই আওয়ামীলীগের উধ্বতন কতৃপক্ষ চিন্তা ভাবনা করবেন।
ইতিমধ্যে দেশবাসী লক্ষ করেছে–বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে পরিচালিত সফল আওয়ামীলীগ সরকারকে অশুভ দেশ বিরুধী শক্তি অ-নিয়মতান্ত্রিক উপায় ক্ষমতাচ্যুত করতে হেন কোন কাজ নেই করেনি। তাঁদের সকল ষড়যন্ত্র, হত্যা পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর নিয়মতান্ত্রিক উপায় ক্ষমতাচ্যুত করার শেষ চেষ্টায় তাঁরা ব্রতি হয়েছে। তাঁরা আদর্শ, দল, সমর্থন, ভোট, অঞ্চল না থাকা সত্বেও বিশেষ কতিপয় নাম সর্বস্ব ব্যাক্তি ও দল নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহৎ রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্ট গড়ে তুলেছে।
তারচেয়েও অধিক আশ্চায্যের বিষয় হচ্ছে–তৃনমূলে লক্ষলক্ষ নেতাকর্মির বিচরণ থাকাবস্থায় বিএনপি বৃহত্তর জোট ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব বিসর্জন দিয়েছে। তদস্থলে সম্পুর্ণ আদর্শের বিপরীত এবং কি অঞ্চল, সংগঠন, নেতাকর্মী এবং কি ভোটহীন ড. কামাল হোসেনের হাতে পীরের চেয়ে অধিক ভক্তি শ্রদ্ধা সহকারে জোটের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে। বিএনপি সহ স্বাধীনতা বিরুধী অশুভশক্তি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে আরো কত নিম্নে নামতে পারে, সময়েই কেবল তা বলতে পারবে।
অবশ্য এর আগেও তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষায় গৃহিত অল্পবিস্তর কর্মকান্ড নতুন প্রজম্ম না দেখলেও, ষাটোধ্ব বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ দেখেছে। এক্ষেত্রে তাঁদের সামগ্রিক চরিত্র বিশ্লেষনে মাত্র দুটি উদাহরণ তুলে ধারা প্রয়োজন মনে করি।
প্রথমতঃ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশবিরুধী অশুভশক্তি নিজেদের হীনস্বার্থ রক্ষায় ‘স্ব-জাতি মা বোনদের বি-জাতি পাঞ্জাবী’দের হাতে তুলে দিতে তাঁদের বুক কাঁপেনি বা সামান্যতম অনুশোচনায় আজও ভোগেনা।
দ্বিতীয়তঃ দেশ বিরোধী অশুভশক্তির মুখোশধারী প্রেতাত্বা বিএনপি দলের প্রতিষ্ঠাতা ‘মেজর জিয়াউর রহমান’, তাঁর নিজের স্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের দখলকৃত সেনানিবাসে পাঞ্জাবীদের মনোরঞ্জনে রেখে দিতে দ্বিধাবোধ করেনি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীদের পক্ষে অনুচরের ভুমিকা পালন করার জন্যে মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশ করেছিল।–ইতিমধ্যেই আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দলিলপত্র প্রকাশ এবং বিশ্বনন্দিত গোপন নথি প্রকাশকারী সংস্থা উইকিলিকস কতৃক প্রকাশিত তথ্য উপাত্ত মেজর জিয়ার মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত সত্যে পরিণত করেছে।
সেখানে সাংগঠনিক শক্তি সম্পন্ন ১৪দলীয় জোটের অন্যতম শরিকদল ‘জাসদ ইনু’ অংশের তিনটি আসনের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদিকা জনাবা শিরীন আক্তারে’র ফেনী ১নং আসন প্রত্যাহার দাবী’তে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ প্রদর্শন কতটুকু যৌক্তিক উধ্বতন নেতৃবৃন্দের অবশ্যই ভেবে দেখা প্রয়োজন।
তদ্রুপ ঢাকা ৮ নং আসনের অন্যতম দাবীদার ঢাকা দক্ষিনের যুবলীগ সভাপতি জনাব ‘ইসমাইল হোসেন সম্রাট’ জিতে আসার ১০০% নিশ্চয়তা বিদ্যমান ছিল। তৎসত্বেও তিনি জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি জনাব মেনন সাহেবের মনোনয়ন ঐ আসনে নিশ্চিত হওয়ায় কোন প্রকার উচ্চবাচ্য করা থেকে বিরত থাকেন। শুধু তাই নয়–তাঁর মনোনয়ন মেনে নিয়ে নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মিদের প্রতি তিনি উদাত্ত আহব্বান জানিয়েছেন।
ইহা একান্ত সত্য যে ফেনী ১নং আসন ৮০ দশক হতে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো বিরাজমান থাকা সত্বেও জনভিত্তিতে ধ্বস নেমেছে। তৃনমূলের একক কোন নেতৃত্বের নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে যা আজও পূরন সম্ভব হয়নি। ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচন হতে গত ২০১৪ সালের সাধারন নির্বাচন পয্যন্ত যে কয়টি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রত্যেকবার প্রার্থি পরিবর্তন হয়েছে।প্রথমবার ৮ হাজার ভোটের ব্যাবধান হলেও পরবর্তি প্রতিটি নির্বাচনে ভোটের ব্যাবধান বাড়তে বাড়তে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৬০ হাজার ভোটে এসে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামীলীগের গত ১০ বছরের একটানা শাসনে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হলেও জনসমর্থনের পরিবর্তন ঘটেছে তেমনটি বলা যায়না।বরঞ্চ দীর্ঘ শাসনের বিরক্তিকর প্রভাব সর্বত্র বিরাজমান অনুমেয়। সকল প্রকার ভেদাবেদ ভুলে সর্বস্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি নির্বাচনী কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ে ১০ বছরের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বিস্তারীত বিবরণ জনসমক্ষে যথাযথ তুলে ধরা সম্ভব হলে বিরক্তির প্রভাব হয়তো বা কেটে যাবে। সর্বসাধারনের ভোট প্রয়োগে বা আওয়ামীলীগ প্রার্থির পক্ষে ভোট আদায়ে বড় রকমের পরিবর্তন হয়েছে বা হবে তেমনটি আশা করা যায়না।
আমার দৃষ্টিতে ফেনী ১ আসনে আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় দুর্বল দিক ২টি। (১) মহিলা ভোট নেই বলতে একেবারেই নেই (২) তিন উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত আসনের ছাগলনাইয়া উপজেলা ব্যাপী ভোটের স্বল্পতা।
প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থিদের উল্লেখিত এই দুটি ইস্যু বিপক্ষ দলের প্রার্থিদের ভোটের ব্যাবধানে বড় রকমের ভোগান্তি সৃষ্টি করে চলেছে।উল্লেখিত দুই ইস্যুতে জাসদ নেত্রী “শিরীন আক্তার” আওয়ামীলীগের দলীয় যে কোন প্রার্থির চেয়ে অনেকদুর এগিয়ে আছে, আমি মনে করি। প্রথমতঃ তাঁর সৃষ্ট এনজিও সংগঠন “কর্মজীবি মহিলা” সংগঠন এই আসনের প্রত্যেকটি গ্রামে ২০/২৫ জন মহিলা বিশিষ্ট শক্তিশালী কমিটি সর্বক্ষন তাঁর পক্ষে ভোট প্রার্থনায় এক পায়ে দন্ডায়মান থাকবে–যাহা নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী আওয়ামীলীগ সহ অন্যকোন দলের প্রার্থির পক্ষে নেই।
দ্বিতীয়তঃ তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জম্মগ্রহন করেছেন। জাসদের সাধারন সম্পাদিকা ব্যাতিত, নেত্রী হিসেবে জাতীয় ও আন্তজাতিক খ্যাতি তো রয়েছেই। আওয়ামীলীগ সরকারের টানা দুইবারের ১০ বছর শাসনামলের তিনি অত্র এলাকার চলতি ৫ বছর প্রতিনিধিত্ব করছেন। নিঃসন্দেহে সর্বস্তরে তাঁর পরিচিতি গড়ে উঠেছে, যে কোন নির্বাচনে যাহা সর্বপ্রথম যে কোন দলের প্রার্থির ক্ষেত্রে প্রয়োজন।
তাছাড়া ইতিপুর্বে ছাগল নাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম জনাব “ফয়েজ আহাম্মদ” বিকম সাহেবকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা দিয়ে নেত্রী পাঠিয়েছিলেন। আশ্চায্য হলেও সত্য তিনি পুর্বের সকল নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থিদের চেয়ে প্রায় ২০ হাজার ভোট বেশী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভোটের হিসেবে যাহা পুর্বে অংশ নেয়া ঢাকা কেন্দ্রিক হেভিওয়েট আওয়ামীলীগ প্রার্থিদের প্রাপ্ত ভোটের প্রায় দ্বিগুন ছিল। সুতারাং অঞ্চল ভিত্তিক ভোটহীন এলাকার প্রার্থি হিসেবে অল্পবিস্তর ভোট যে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থি শিরীন এর পক্ষে আসবেনা, তেমনটি নয়।সুতারাং সর্বদিক বিবেচনায়–যেকোন বিচারে আওয়ামীলীগের যেকোন প্রার্থির চেয়ে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থি শিরীন আক্তার অনেকটাই অগ্রগামী, ইহা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা।
এইমহুর্তে শেখ হাসিনা মনোনীত জোট প্রার্থি জাসদ নেত্রী চিন্তা না করে, নৌকা প্রার্থি চিন্তা করাই যথার্থ হত আমি মনে করি। সারাদেশের জাসদের আসনভিত্তিক কমপক্ষে ৩/৪ হাজার ভোট যদি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থিদের তাঁরা দিতে পারে, আওয়ামীলীগ কেন মাত্র তিনটি আসনে জাসদকে তাঁদের দলের সম্পুর্ণ ভোট দিতে পারবেনা?






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*