প্রাণের ৭১

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠিয়ে ফিরে আসা ফ্যালকন ৯ রকেটটিই মানুষ নিয়ে মহাকাশে যাবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার রকেট কোম্পানি স্পেসএক্সের তৈরি করা ওই রকেট দিয়েই নাসার মহাকাশে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টারে অভিযাত্রী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য নাসার সঙ্গে স্পেসএক্সের চুক্তিও হয়েছে। তবে নাসা চায় অভিযাত্রী পাঠানোর আগে অন্তত সাতবার রকেটটি সফল উড্ডয়ন ও অবতরণ করুক।

শুক্রবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ সফল উৎক্ষেপণ করে সেটি কক্ষপথে দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে স্পেসএক্সের ড্রোন শিপে ফিরে এসেছে রকেটটি। লঞ্চপ্যাড থেকে উৎক্ষেপণের আট মিনিট ৪৫ সেকেন্ড পর দুই স্টেজের এই রকেটটির স্টেজ-১ পৃথিবীতে ফিরে আসে। তার আগে আড়াই মিনিটের মাথায় স্টেজ-১ ও স্টেজ-২ আলাদা হয়।

স্টেজ-২ এরপর ৩৩ মিনিটের মধ্যে কক্ষপথে স্থাপন করে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটিকে; স্টেজ-১ ফিরে আসে পৃথিবীতে। ব্লক ৫ ভার্সনে ফ্যালকন রকেটটি তৈরি করেছে স্পেসএক্স। যেটি অন্তত দশবার কোনো ধরনের মেরামত করা ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে।

এর আগে কোনো রকেট দুইবারের বেশি ব্যবহার করা যায়নি। সেই দুইবার ব্যবহার করতে গেলেও রকেটটির বড় ধরনের মেরামতের প্রয়োজন পড়ত। কিন্তু স্পেসএক্স দীর্ঘদিন কাজ করার পর ২০১৭ সালে পুনর্ব্যবহারযোগ্য ফ্যালকন-৯ রকেটটি তৈরি করে।

স্পেসএক্স প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্ক বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের আগে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দীর্ঘ ১৬ বছরের কাজের অগ্রগতি এই রকেট। ১৬ বছর থেকে অন্তত হাজারটি ছোটখাটো উন্নয়ন করা হয়েছে রকেটটি কয়েকবার পুনর্ব্যবহার করার জন্য।

ব্লক ৫ এখন এমন কাজ পরিচালনার জন্য স্পেসএক্সের প্রধান ভিত্তি হয়ে উঠবে। এটিকে আরও বেশি প্রকৌশল প্রয়োগ করে এর ত্রুটি দূর করার পাশাপাশি মানুষের ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে বলেও জানান মাস্ক। আসলেই রকেটের এক অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করেন মাস্ক।

স্পেসএক্স জানায়, আগে অ্যালুমিনিয়াম গ্রিড ফিন ব্যবহার করা হলেও ব্লক ৫-এ রয়েছে টাইটানিয়াম গ্রিড ফিন। মাটিতে বা সাগরে নিরাপদ অবতরণের ক্ষেত্রে ব্লক ৫ এখন আরও বেশি তাপসহনীয়। এর সংস্কার করা অংশগুলো অত্যধিক তাপসহনীয় পাইরন উপাদানের প্রলেপ দেয়া। উচ্চমাত্রার তাপ সহনশীল ফাইবার পাইরন ১২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়ও গলে না।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*