প্রাণের ৭১

বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ

বিশ্বে সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী এখন।

আজ বিশ্ব শরনার্থী দিবস। বিশ্বব্যাপী করোনার এই সময়ে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব শরনার্থী দিবস ২০২০  নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের ভেতর করোনা সংক্রমণ কমাতে বাংলাদেশের যা করার তা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই মুহুর্তে সাড়ে সাতকোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখনই সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

 

প্রায় তিনবছর আগে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যূত হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য করোনা পরিস্থিতিতে নতুন সংকট তৈরি করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশ সামর্থ্য অনুযায়ী যথেষ্ট করছে। কিন্তু তাদের ফিরে যাওয়া ছাড়া এই সমস্যার সমাধান নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রথম থেকেই কোভিড রেসপন্স প্ল্যানের আওয়াত রেখেছে এবং তারা মোটামুটি নিরাপদেই আছে। তবে এটাও সত্যি যে, সরকারের উপর একটা বড় চাপ পড়ছে তাদের জন্য।

 

রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে যাতে করোনা সক্রমন না হয় সেজন্য সরকার শুরু থেকেই পদক্ষেপ নিয়েছে, জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী  আবুল মোমেন।  কিছু রোহিংগাকে ভাসানচরে পাঠানো নিয়ে কারোর আপত্তি গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যেখানে আছে তা খুবই জনবসতিপূর্ন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব না।আর একবার কোন ভাবে যদি সেখানে করোনা সংক্রমণ হয়, তাহলে অনেক লোক মারা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা প্রথমদিন থেকেই তাদের সুরক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।

 

  • ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা দেশগুলো এখনও রোহিংগা সমস্যা সমাধানে পুরো সহযোগিতা করছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।





মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*