প্রাণের ৭১

বৈবাহিক ধর্ষণ: আইনে সংস্কার চায় আদালত

বৈবাহিক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে আইনি সংস্কার প্রয়োজন, বলল গুজরাত হাইকোর্ট। কোনও বিবাহিত সম্পর্কে যে ‘দমন-পীড়নের মনোভাব’ থেকে ধর্ষণের মতো মুহূর্ত তৈরি হয়, তাকে সমূলে নষ্ট করতে হলে বৈবাহিক ধর্ষণকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করাই একমাত্র উপায় বলে জানিয়েছে আদালত।

সম্প্রতি এক মহিলা চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসক স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর করেন। সেই সঙ্গে শারীরিক পীড়ন, বলপূর্বক মুখমৈথুন এবং আনুষঙ্গিক নির্যাতনের অভিযোগও ছিল।

ওই এফআইআর বাতিলের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন স্বামী। সেই শুনানিতেই হাইকোর্ট আবেদনটি অংশত মেনে নিয়ে বলেছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) বা ৩৭৭ (অপ্রাকৃতিক যৌন সংসর্গ) এই মামলায় কার্যকরী হবে না। কারণ ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের যে সংজ্ঞা আছে, তাতে বৈবাহিক ধর্ষণ অন্তর্ভুক্ত নয়। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩৫৪ (যৌন নিগ্রহ) এবং ৪৯৮ ক (বৈবাহিক সম্পর্কে নির্যাতন) ধারা প্রয়োগ করা যেতে পারে বলে আদালতের মত।

এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা বলেন, ‘‘বর্তমান আইনি পরিসরে বৈবাহিক ধর্ষণের বিচার করা সম্ভব নয়। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের তালিকায় আনার ব্যাপারে যথেষ্ট আলোচনাও হয় না। বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলা যদি সমান ভাবে আইনি সুরক্ষা না পান, তা হলে বৈবাহিক ধর্ষণ ঠেকানো যাবে না। বৈবাহিক ধর্ষণকে বিধিবদ্ধ ভাবে নিষিদ্ধ করাই প্রথম কাজ।’’






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*