প্রাণের ৭১

ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ইরানের পক্ষে দাঁড়ালো।

রানের ওপর আরোপ করা নতুন অবরোধের মাধ্যমে দেশটির তেল রফতানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কূটনৈতিক সফলতায় ইরান ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করায় ট্রাম্পের এ চাওয়া কতটা পূরণ হবে তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, ইরানের তেল এবং আর্থিক খাতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সোমবার থেকে নতুন করে ব্যাপক এবং কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের সাত শতাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, জাহাজ এবং বিমান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র চায় এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ইরানের তেল রফতানি যেন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এমনটিই মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থেকে আটটি দেশকে বিশেষ ছাড় দিয়েছে মার্কিন সরকার। ছাড় পাওয়া দেশগুলো হচ্ছে: ইতালি, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক এবং চীন।

তবে এসব দেশ নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেলেও ইরান এখন অর্থনৈতিক যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তারা মাথা উঁচু করে চলতে চান, এবং যে কোনোভাবে এই নিষেধাজ্ঞা তারা ভাঙবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার কঠোর বিরোধিতা করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সম্পাদিত চুক্তির অংশীদার এই তিন দেশ। দেশ তিনটি এখনো ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণুচুক্তি মেনে চলতে এখনো অঙ্গীকারবদ্ধ।

ফলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তারা মানবে এবং ইরানের সঙ্গে প্রয়োজনীয় বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে তারা ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে সাহায্য করবে। ইরানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের জন্য এই তিনটি ইউরোপীয় দেশ টস্পেশাল পারপাজ ভেহিকেলট বা এসভিপি নামে বিকল্প একটি লেনদেন ব্যবস্থা চালু করেছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*