প্রাণের ৭১

ভোটারের মন পেতে কেউ বানাচ্ছেন রুটি, কেউ চালাচ্ছেন অটো, কেউবা শুয়েছেন ময়লায়!

কথায় আছে ভোট এলেই দেখা মেলে বিভিন্ন দলের নেতাদের। তারপর ভোট শেষ হলে, তারাও কোথায় যেন হাওয়া হয়ে যান। এছাড়া রয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার নানাবিধ পন্থা। পাকিস্তানে আগামী ২৫ জুলাই সাধারণ নির্বাচন। দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?‌ কিংবা সরকার গড়বে কারা?‌ ঠিক হবে এই ভোটের পরে। আর তাই ভোট চাইতে নানা রকম পন্থা অবলম্বন করছেন পাকিস্তানের নেতারা। কেউ দোকানে গিয়ে রুটি বানাচ্ছেন, তো কেউ আবার অটো চালাচ্ছেন। একজন তো আবার নোংরা–আবর্জনার মধ্যে শুয়ে পড়ছেন। গত কয়েকদিনে সামনে এসেছে সেই চিত্র।

• পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামি মুসলিম লিগের প্রধান শেখ রশিদ দু’‌টি জায়গা থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। জেতার জন্য তিনি দোকানে গিয়ে রুটি পর্যন্ত তৈরি করছেন। সম্প্রতি একটি বাজারে ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানেই একজন তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি আমার জন্য কী করবেন?‌ তখনই তিনি রুটি বানিয়ে খাওয়ানোর কথা বলেন। এরপরই নিজ হাতে তন্দুরি রুটি বানিয়ে দেখান তিনি।

• পাকিস্তানের আরেক বড় দল তহরিক–ই–ইনসাফের নেতা আরিফ অল্বি–ও এ ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তাকে অটো চালাতে দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর আরিফ বলেন, ‘‌র‌্যালিতে অটো চালিয়ে খুব মজা পেয়েছি। তবে আমার দলের সদস্যরা আমাকে ট্রাক চালাতে বলে, যাতে আরও বেশি লোক আমাকে দেখতে পায়।’

• এদিকে এনএ–২৪৩ সিটের স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়াজ মেমন মোটিবালা তো ভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। করাচিতে বিভিন্ন এলাকাকে নোংরা–আবর্জনা মুক্ত রাখতে ক্ষমতাসীন সরকার ব্যর্থ। এমনকী সেখানকার নালাগুলিও পঁচে গিয়েছে, সেগুলির কোনরকম সংস্কার হয় না। স্থানীয় মানুষদের এ ব্যাপারে সচেতন করতে ওই নালার মধ্যেই শুয়ে ফটো তোলেন আয়াজ। যা কিনা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়ে যায়।

• লাহোরের এনএ–১৩৪ সিটের প্রার্থী মুবাশির ইকবাল আবার প্রত্যেক ভোটারের কাছে গিয়ে তাদের প্রণামও করেন।‌‌






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*