প্রাণের ৭১

মন্ত্রিসভায় বিএসটিআই আইনের খসড়া অনুমোদন

মন্ত্রিসভা স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং আইন লংঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ধারা সংযোজনসহ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আইন-২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সভা শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, এই নতুন আইন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন অধ্যাদেশ-১৯৮৫ এর স্থলাভিষিক্ত হবে।
লাইসেন্স ব্যতিরেকে স্ট্যান্ডার্ড ছাপ ব্যবহারের জন্য এই নতুন আইনে পূর্ববর্তী ছয়মাস জেল ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানার বদলে দুই বছরের জেল ও ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন আইনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ব্যবহৃত পণ্য বাজেয়াপ্ত করারও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
রফতানি লাইসেন্স আইনের কোন প্রকার লংঘনের ক্ষেত্রে পরবর্তী কেবলমাত্র এক বছরের জেলের পরিবর্তে নতুন খসড়ায় এক বছরের কারাদ- এবং ন্যূনতম দশ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই আইন অনুযায়ী সরকার বিএসটিআই এর সঙ্গে আলোচনা ও গেজেট নোটিশের ভিত্তিতে পণ্যের বিক্রি, বিপণন ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
সরকারি গেজেট অমান্য করে পণ্য বিক্রয়, বন্টন ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জন্য খসড়া আইনটিতে চারবছরের কারাদন্ড এবং ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে এ আইনে চারবছর কারাদন্ডের এবং ন্যূনতম ৭ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করার নিয়ম ছিলো।
আইনের খসড়ায় এমন একটি সাধারণ বিধান রাখা হয়েছে, যার অধীনে একজন ব্যক্তিকে এ আইনে কোন অপরাধের জন্য যদি বিচার করা হয়, সেই অপরাধের শাস্তি হয় বিশেষ ভাবে না করার পরিবর্তে ওই ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দ্বিতীয়বার একজন ব্যক্তি একই অপরাধ করার জন্য আইনটিতে দ্বিগুণ কারাদন্ড ও জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দন্ডিত ব্যক্তি তিন মাসের মধ্যে অথবা সরকার নির্ধারীত সময়ের মধ্যে দন্ডের বিরুদ্ধে সরকার বরাবর আবেদন করতে পারবে।
মন্ত্রিসভা ২০১১ সালের নীতিমালা সংস্কারের মাধ্যমে জাতীয় পাট নীতি-২০১৮ অনুমোদন করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন পাট নীতির ভিশন ও মিশন (উদ্দেশ্য ও আদর্শ) হচ্ছে : স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পাট শিল্পকে শক্তিশালী করা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব পাট উৎপাদন।
শফিউল আলম বলেন, নীতিমালায় পাঁচটি বিষয়ের ওপর কৌশলগত অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে : মানসম্পন্ন পাট উৎপাদন, পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, পাটের বহুমুখীকরণ, পাট কলের আধুনিকায়ন এবং পাটের বাজার সম্প্রসারণ।

 

বাসস






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*