প্রাণের ৭১

মশা মারতে চীনে সর্বাধুনিক সামরিক রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার

মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে চীন সরকার শেষ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মশা মারার নির্দেশ দিয়েছে। না কোনো গল্প নয়, একেবারেই বাস্তবতা। এ কাজে চীনের হাতে থাকা সবচেয়ে আধুনিক রাডার নিয়োগ করা হয়েছে। এ রাডার দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে থাকা যে কোনো মশাকে শনাক্ত করতে এবং তা লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে মেরে ফেলতে পারে।

মশা কোনো হেলাফেলার বিষয় নয়। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো রোগে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। যে কোনো প্রাণীর চেয়ে মশা এখন বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। বিষয়টি  জেনেই হয়ত মশা প্রতিরোধে সর্বাধুনিক রাডার বসিয়েছে দেশটি।

ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, অনেকটা সে প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এবার মশার বংশ ধ্বংস করতে চায় চীন।

বেইজিং ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ডিফেন্স ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে এ রাডার। আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটি মশাও খুঁজে পেলে এ রাডার জানান দেবে। আপাতত যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ তৈরি হয়েছে।

এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানান, সাফল্য পেলে মানবজাতির পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে উঠবে এ যন্ত্র। কী কাজ করবে এ যন্ত্র? উত্তরে তিনি জানালেন, এ যন্ত্র থেকে এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বেরোবে যা আশপাশের ২ কিমি. পর্যন্ত মশাদের খুঁটিনাটি চরিত্রও জানিয়ে দেবে কন্ট্রোল রুমে বসে থাকা বিজ্ঞানীদের। মশাটি কোন জাতের, সেটির লিঙ্গ, কত জোরে উড়ছে বা কোনদিকে উড়ে যাচ্ছে- এসবই ল্যাবে বসে জানা যাবে। এরপর সেটি নিধন করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে দুটি রাডার নির্মিত হলেও ভবিষ্যতে আরো কয়েকটি রাডার বানানোর পরিকল্পনা করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের দাবি- প্রতিবছর মশার কামড়ে অন্তত ১০ লাখ মানুষ মারা যান। আধুনিক সভ্যতা ও পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে তাই এবার মশার বংশ শেষ করতে উদ্যোগী হল বেইজিং।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*