প্রাণের ৭১

মিরসরাইতে আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার জরাজীর্ণ পোশাকে আসা ছবি ভাইরাল।

দল ক্ষমতায় অনেক বছর, দেশে অনেক আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা শুন্য থেকে হয়েছেন কোটিপতি।  অনেকের ভ্যাগের কয়েকগুণ উন্নতি হয়েছে।  দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বলেন আমার দলের ত্যাগী নেতা কর্মীরা ভাল নাই।  তেমনি একজন সাবেক ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয়   নেতা  মোতাহার হোসেন রানা।  গত ১৮ই নভেম্বর ছিল মিরসরাইতে আওয়ামীলীগের সম্মেলন, এই সম্মেলনে দলকে ভালবেসে এসে ছিলেন মোতাহার হোসেন রানা,  তবে কোন সম্মানীত অতিথি হিসেবে নয়। তিনি এসে ছিলেন প্রায় নোংরা, বোতাম ছেঁড়া শাট গায়ে দিয়ে রাস্তার ছিন্নমূল হোমলেস মানুষের মতো দর্শক সারির পেছনে বসে ছিলেন।  এমন একটি ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে। এই ছবিটি সম্মেলনে আসা অনেক পরিচিত ও দেশ বিদেশে থাকা অনেক আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা সামাজিক মাধ্যমে  রানার অতীত জীবনের সংগ্রামী জীবনের স্মৃতি চারন করে শেয়ার দেয়।

স্টার্টাস গুলো নেটিজনেরা লিখেন : অনেক পুরাতন শার্ট, টুপি পরিহিত ও আশাহীন চোখে তাকিয়ে থাকা ঝরাজীর্ণ ছবির এই মানুষটির নাম- মোতাহার হোসেন রানা। (সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। সাবেক সভাপতি, কবি জসিম উদ্দিন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, মিরশ্বরাই থানা ছাত্রলীগ)   ৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন তিনি।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক সভায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে ৫ মিনিট বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। সভামঞ্চে তার বক্তব্য শুনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা খুশী হয়ে তার নাম, ঠিকানা ডায়রীতে টুকে নিয়েছিলেন সেদিন।   ১৬ই নভেম্বর মিরশ্বরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ছিল। উপস্থিত দর্শকের সারিতে চেয়ারে এমন অসহায় হয়ে বসেছিলেন একসময়ের মাঠ কাপানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোতাহার হোসেন রানা ভাই। কিন্ত সভামঞ্চে তারই হাতে গড়া কর্মী, সহযোদ্ধা অনেকে থাকলেও কেউ তার খবর রাখেনি।   রাজনীতিতে অর্থ-বিত্ত না থাকলে দাম নাই।টাকা,পয়সা না থাকলে টিকে থাকা যায় না। সংগ্রাম আর ত্যাগের এটাই সত্য। জয় হোক রানা ভাইয়ের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সারা বাংলার সকল মুজিব প্রেমী কর্মীদের।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*