প্রাণের ৭১

মিরসরাইতে চিনকি আস্তানায় আন্তঃ নগর রেল পরিষেবার দাবি জানালেন আনিস আলমগীর।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার উপর দিয়ে চলে গেছে ট্রেন লাইন। রেলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস চট্টগ্রামে হলেও   পরিপূর্ণ পরিকল্পনার অভাবে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অত্র এলাকার সাধারন মানুষ। অনেকে ইচ্ছে থাকা পরও ট্রেন ভ্রমণ করতে উৎসাহিত হচ্ছে না।  বর্তমানে মিরসরাই একটি সম্ভাবনাময় উপজেলা, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল,নতুন নতুন মিল কারখানা স্থাপিত হওয়ায়  ও পাহাড়ী ঝর্ণা সহ পর্যটন স্থান গুলো  পরিদর্শন করতে  দেশের বিভিন্ন অঞল থেকে ভ্রমণ করতে অনেক মানুষ আসে উপজেলাটিতে । বিভিন্ন সময় বিছিন্ন ভাবে অনেক চিনকি আস্তানায় রেলস্টেশনে আন্তঃ নগর রেলের পরিষেবা চালু করার দাবি করে আসছে। মিরসরাইয়ের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব আনিস আলমগীর উক্ত দাবিটি তার নিজস্ব ফেসবুক টাইমলাইনে পূর্নব্যাক্ত করেন।

নিচে ফেসবুক স্টার্টাস টি হুবহু দেওয়া হলো-

কালো বিড়াল, সাদা বিড়াল মন্ত্রী

রেলওয়ের সবচেয়ে লাভজনক লাইন হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম। আমার যদি রেলে করে চট্টগ্রামে দেশের বাড়িতে যেতে হয় তাহলে চট্টগ্রাম শহরে গিয়ে ৫০ মাইল ব্যাক করে আসতে হবে বাসে করে। কারণ পুরো চট্টগ্রামের কোথাও দ্রুতগামী ট্রেন থামে না। ইন ফ্যাক্ট, ফেনীর পর চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৭০ মাইলের কোথাও দ্রুতগামী একটি ট্রেনও থামে না।

অথচ উত্তর বঙ্গে, দক্ষিণ বঙ্গে কত জায়গায় ১০/১৫ মাইল পরপর থামছে দ্রুতগামী ট্রেন, যেখানে বিনা টিকিটে অবাধে যাতায়াত করে যাত্রীরা। এক সময় মিরসরাই উপজেলার চিনকি আস্তানা ছিল একটি প্রসিদ্ধ রেলওয়ে স্টেশন। সেখানে ট্রেন থামানোর কোনো ব্যবস্থা রাখেনি সরকার।

এমনটি চলতে থাকলে ক’দিন পর হয়তো শুনবো পার্শ্ববর্তী ধুমঘাট স্টেশন বন্ধ করে এর সম্পত্তি যেভাবে লুটপাটে চলে গেছে, চিনকি আস্তানার রেলওয়ের সম্পত্তিও লুটপাটের খাতায় চলে গেছে।

এই দেশে কখনোই সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না। চট্টগ্রামগামী ট্রেন ফেনী নদী পার হওয়ার পর, বারৈয়ার হাটে যদি আটকে রাখা হয়, জনতা যদি উপড়ে ফেলে ট্রেনের লাইন, ঠিকই দেখবেন একদিন চিনকি আস্তানায় ট্রেন থামছে।

রেলওয়ে একটা চোরের খনি, দুর্নীতিবাজদের আস্তানা। এর সম্পত্তি, নানান প্রজেক্ট যেন ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের হালুয়া রুটি। কালো বিড়াল বাদ পড়লে সাদা বিড়াল এখানে মন্ত্রী হয়, কোটি কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ হয়, কিন্তু রেলের কোনো উন্নয়ন হয় না। কোনো বিড়ালই ইঁদুর মারতে পারে না। মাঝে মাঝে বিড়ালের গিন্নি, আত্মীয়-স্বজনরা খবর হন।

রনি নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইটি কমলাপুর রেল স্টেশনে রেলওয়েকে দুর্নীতিমুক্ত করার আন্দোলনে শরিক হয়েছেন। শাসন বিভাগ আগুন না জ্বললে কখনো কিছু দেখেও দেখেনা। আইন বিভাগের উচিত অবিলম্বে এতে হস্তক্ষেপ করা। সরকারকে বাধ্য করা রনির প্রতিটি দাবির ভিত্তিতে রেলওয়েকে দুর্নীতি মুক্ত করা।https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid02mSEa6QVpRWaYEXzaoRTQCdtWNuQ4RSdivMj3vvYaWSQc9Qgu98bB9v6enu2J4izBl&id=100003118950576

🍀 শারীরিক অংশগ্রহণ না থাকলেও, রনির আন্দোলনে আমার পূর্ণ নৈতিক সমর্থন আছে। 🍀
Anis Alamgir

ফেসবুক থেকে নেওয়া।



(পরবর্তি সংবাদ) »



মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*