প্রাণের ৭১

যেসব খাবার দ্রুত বুড়ো বানিয়ে দেয়

মানুষের বয়স বাড়া এক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। কিন্তু খাবারের কারণে এ প্রক্রিয়া ত্বরাণ্বিত হতে পারে। অর্থাৎ, কিছু খাবারে দেহে বয়সের ছাপ অনেক দ্রুত পড়তে পারে। অনেকেরই দেখা যায় বয়সের তুলনায় চেহারায় ছাপটা বেশি পড়ে। এর পেছনে খাবারের হাত রয়েছে। এখানে জেনে নিন সেই খাবারের তালিকা। তারুণ্য ধরে রাখতে এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই মঙ্গল হবে।

অ্যালকোহল 
প্রথমেই আসে এই পানীয়ের কথা। অ্যালকোহলের কারণে ডিহাইড্রেশন ঘটে। এটি খনিজ শুষে নেয়। সেই সঙ্গে দেহে ফ্যাটি এসডি জমা করে। ফলে চেহরায় বলিরেখা পড়ে খুব দ্রুত। কোলাজেন ক্ষয়ে যাওয়া, রেডনেস, পানিশূন্যতা এবং ফোলাভাব চলে আসে চেহারায়।

চিনি
দারুণ ক্ষতিকর এক খাবার। মিষ্টিজাতীয় খাবার কিংবা খাওয়ার পর ডেজার্ট দেহের বিপাকক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরলের মাত্রা। চিনি কেবল ওজনই বাড়ায় না চেহারায় বলিরেখা ফেলে দয়। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়। ফলে বয়সের ছাপ পড়ে সহজে।

লবণ 
অতিরিক্ত খেলে দেহের পানি শুষে নয় লবণ। ফলে কিডনি ঝুঁকিতে পড়ে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মনে হবে দ্রুত বয়স বেড়ে যাচ্ছে।

প্রক্রিয়াজাত মাংস 
এসব মাংসে থাকে সম্পৃক্ত ফ্যাট আর উচ্চমাত্রার লবণ। প্রিজারভেটিবও থাকে এতে। চর্বিপূর্ণ এসব মাংস দেহ থেকে ভিটামিন সি ব্যবহৃত করে। এতে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং এতে নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। এতে চেহারায় দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে।

ট্রান্স ফ্যাট 
সবচেয়ে বাজে ফ্যাটি এসিড। এটি ধমনীতে রক্তপ্রবাহের পথ বাধাগ্রস্ত করে। ফলে নালীতে ফ্যাট জমা হতে থাকে। এগুলো কোষের তারল্যভাব নষ্ট করে। লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ইনফ্লামাটরি দেখা দিতে থাকে। অনেক দ্রুত বয়স বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে হতে থাকে।

এনার্জি ড্রিঙ্ক 
এসব পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। ফলে পানিশূন্য হয়ে পড়ে দেহ। এসব পানীয়র মূল উপাদান হলো চিনি। কাজেই যা হওয়ার তাই হয়।

কর্ন-ভিত্তিক খাবার 
এসব প্রক্রিয়াজাত খাবারে উচ্চামাত্রার ফ্রুকটোজ তাকে। এতে দেহে ওমেগা-৬ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে বয়সের আগে বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ক্যাফেইন 
এ জিনিস মেলে কফিতে। তাই অতিরিক্ত কফি খেলে ক্যাফেইনের কারণে দেহে পানির অভাব দেখা দেয়। এতে ত্বকে বলিরেখা পড়ে। বর্ণহীন হতে তাকে ত্বক। শুষ্কতা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে বুড়িয়ে যেতে থাকে ত্বক।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*