প্রাণের ৭১

রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ উপদেষ্টা

জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
তিনি আজ ঢাকায় এক সেমিনারে বলেন, ‘যখন রোহিঙ্গা সংকট উদ্ভূত হলো তখন তিনি (শেখ হাসিনা) রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানাতে সীমানা উন্মুক্ত করে দিলেন। আর আপনারা বাংলাদেশের সবাইও আপনাদের উদার আতিথেয়তার দুয়ার খুলে দিলেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে তিনজন নারী শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে এমন উদার পদক্ষেপের দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা কেইট লরেল আরদান।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) তাদের মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে আদামা দিয়েং বলেন, মিয়ারমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার সম্মুখীন হয়ে দেশটির রাখাইন রাজ্যে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ উদারতা প্রদর্শন করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে, মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে কিন্তু এখনও তারা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করেনি।
জাতিসংঘ উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে দেয়া অঙ্গীকার পূরণে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা স্বচক্ষে দেখার জন্য আদামা দিয়েংকে রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংসতা একটি সুস্পষ্ট গণহত্যা এবং রোম চুক্তির লঙ্ঘন।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এর পরিচালক বিচারপতি মফিদুল হক, আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আমীর-উল ইসলাম, বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুনশি ফাইজ আহমদ ও সংস্থার মহাপরিচালক এ কে এম আব্দুর রহমান সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*