প্রাণের ৭১

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না করে ফেলে রাখা যায় না

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যু একটি মানবিক বিপর্যয় ও মানবাধিকার সংকট। দ্রুত সমাধান না করে এই ইস্যুটি ফেলে রাখা যায় না। নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা দিবে।

তিনদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যদের স্থায়ী প্রতিনিধিরা মিয়ানমার যাত্রার প্রাক্কালে সোমবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন। জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পেরুর স্থায়ী প্রতিনিধি ও  দলনেতা গুস্তাভো অ্যাভলফো মেজা কুয়াড্রা, স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি কারেন পিয়ার্স ও অস্থায়ী সদস্য কুয়েতের প্রতিনিধি মনসুর আয়েদ আল ওতাইবি সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তথা সংকট নিরসনে আমরা কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখছি না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। আমরা মিয়ানমার, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বিশ্ববাসীকে এমন বার্তা দিতে চাই যে, এই সংকটের অবসান ঘটাতে ও সমাধানের একটি পথ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়ার দিক থেকে কোনো বাধা দেখিনি। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে তারাও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তারাও দ্রুত সমাধান চান।

তিনি আরো বলেন, সকল পক্ষকে সমস্যা সমাধানে আন্তরিক ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। আমরা চাই চুক্তি বাস্তবায়ন হোক। যাতে দ্রুত, স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়।

পেরুর স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিয়ে হূদয় উজাড় করে আশ্রয় দিয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল শনিবার বিকালে সরাসরি কক্সবাজার যায়। রবিবার দিনভর কুতুপালং-এ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে। গতকাল সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*